সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল ধানাধীন বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্মম ‘নির্যাতনে’ রায়হান আহমদের মৃত্যুর ৮দিন পরে তাঁর পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার (১৮ অক্টোবর দুপুরে নগরীর আখালিয়া নেহারিপাড়াস্থ গুলতেরা মঞ্জিলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বক্তব্য রাখেন রায়হানের মা সালমা বেগম। পরে ৬টি দাবি পেশসহ ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন স্থানীয় মুরুব্বি শওকত হোসেন। সিলেটে কর্মরত ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রায়হান আহমদ হত্যায় জড়িতদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করা হলে পরিবার এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে হরতাল ও সড়ক অবরোধসহ দুর্বার আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। একই সাথে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৬ দফা দাবিও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে নিহত রায়হানের মা সালমা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রায়হানের মামাতো ভাই ও স্থানীয় মুরুব্বি শওকত। দাবিগুলো হচ্ছে- রায়হান হত্যাকাণ্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। রায়হান হত্যায় জড়িত পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আকবর ভূঁইয়াসহ দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার। পলাতক এসআই আকবর ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারে আইজিপির নির্দেশ। পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে পুর্ণাঙ্গ বক্তব্য। নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করলে হরতাল-সড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনকি সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান ও ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশনের সভাপতি আ ম ন জামান চৌধুরী সিসিকের কাউন্সিলর তওফিক বকস লিপন, সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাস, কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ ও কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশনের সহ সভাপতি বাবু কানু লাল পাল প্রমুখ।