মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের পয়লা গ্রামের বহু পুরাতন কালিমন্দির ও শ্মশান ঘাটের দেবোত্তর সম্পত্তি জবর দখল করে আধা পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কামরুল শেখ নামে এক ভূমি দস্যুর বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভূমি দস্যু কামরুল পয়লা মৌজার ৩৫৯ খতিয়ানভুক্ত ৫৬ দাগের ২৪ শতাংশ দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে সেখানে আধাপাঁকা ঘর নির্মাণ ও গাছপালা লাগিয়েছেন। স্থানীয় হিন্দুরা এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে উগ্র মেজাজের কামরুল শেখ তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় কামরুলের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না। তেওতা ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, পয়লা মৌজার ৩৫৯ নং খতিয়ানের ৫৬ নং দাগে জমির পরিমান ২৪ শতাংশ। যার পূর্বের মালিক ছিলেন জ্যোতিময়ী চৌধূরানী এবং জমির শ্রেণি দেবোত্তর। পরিবর্তন সূত্রে বর্তমানে এটি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের উপর ন্যাস্ত রয়েছে। পয়লা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এক চাকরিজীবি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দীর্ঘদিন আগে কামরুলের পিতা উকিল উদ্দিন ত্রিসন্ডি এলাকা থেকে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে বাবুর পয়লা কালিমন্দিরের পুকুর পাড়ে অস্থায়ীভাবে বসবাসের মৌখিক অনুমতি লাভ করেন। সে সময় থেকেই তারা এখানকার দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপনের পায়তারা চালাচ্ছেন। এ ঘটনা খাল কেটে কুমির আনার সামিল। কামরুল শেখ প্রতিবেদককে জানান, আমার আব্বাকে শাহজাহান মেম্বার এখানে এনেছিলেন। আমার আব্বা পরবর্তীতে শাহজাহান মেম্বারের কাছ থেকে এ জায়গাটি কিনে নিয়েছেন। এ বাড়ির খাজনা দেন কিনা প্রশ্নে কামরুল শেখ কোন উত্তর দিতে পারেননি। মানিকগঞ্জ জেলা পুজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ পাল জানান, এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। কারন তেওতা ইউনিয়ন ও শিবালয় উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটি এ বিষয়ে আমাকে অবহিত করেনি। আমি খোঁজখবর নিয়ে অবশ্যই প্রশাসনের দ্বারস্থ হবো। শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারাশিদ বিন এনাম দৈনিক নবচেতনা-কে জানান, এ বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পাইনি। তবে আপনার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। দখলদারের যদি কোন বৈধতা না থাকে তবে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাকে উচ্ছেদ করা হবে।