বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরণ ও কারাবাখ নিয়ে দুই প্রতিবেশি দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সঙ্গে সংঘাত চলছে। সীমান্তে এক দেশ অপর দেশের বিরুদ্ধে হামলা-পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলছে। পাঁচদিন চলা সংঘাতের মধ্যে আজারবাইজানের দুটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি করেছে আর্মেনিয়া।
বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ার বিমান বাহিনীর বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক এ তথ্য জানিয়েছে।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি শুশান স্টেপানিয়ান তার ফেসবুক পেজে আজারবাইজাানকে ইঙ্গিতকরেলিখেছেন, ‘কারাবাখে আর্মেনিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগ ভূপাতিত করেছে।’ হেলিকপ্টারটি কারাবাখের তথাকথিত সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও তিনি দাবি ঙ্গিকরেন।
তবে আজারবাইজানের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। দেশটি বলছে, বৃহস্পতিবারে কারাবাখে তারা কোনো বিমান বা কপ্টার ব্যবহার করেনি।
এর আগে কারাবাখের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছিল, তাদের বাহিনী একটি আজারবাইজানি সামরিক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে। এটি ইরানের কাছে ভারাজাতুম্ব এলাকায় ভূপাতিত হয়েছে।
রোববার থেকে বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো ও কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চলছে। এদিকে আজারবাইজানের পার্লামেন্ট দেশটির কয়েকটি শহর ও অঞ্চলে যুদ্ধাব্স্থা ঘোষণা দিয়েছে।
বিতর্কিত অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ডের অন্তর্গত হলেও সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ জাতিগত আর্মেনীয় হওয়ার কারণে স্থানীয়ভাবে একটি আর্মেনীয় সরকারের শাসনাধীনে রয়েছে।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ করেছে।
আর্মেনিয়া সরকার নগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের স্বায়ত্বশাসনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে স্থানীয় যে আর্মেনীয় সরকার অঞ্চলটি পরিচালনা করছে তাকে স্বায়ত্বশাসন দেয়নি ইয়েরেভান।