সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কৃষকের রোপা আমন ধান আবারও বন্যায় পানির নীচে তলিয়ে গেছে। রোপা আমন ধান রোপন করার পর জমি নিরানী দিতে ব্যস্ত সময় পার করতে ছিলেন তাড়াশ অঞ্চলের কৃষক পেশার মানুষ। এ বছর বন্যায় উপজেলার আমন, সবজিসহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতেই কৃষকেরা জমিতে রোপা আমন ধান রোপন করে লাভবান হওয়ার আশায় ব্যস্ত সময় পার করতে ছিলেন। এর মধ্যেই ২য় বার বন্যা এসে কৃষকের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিল। আগের বন্যায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে বারুহাস, তালম,দেশীগ্রাম, মাধাইনগর ও তাড়াশ সদর ইউনিয়নের পুর্বাঞ্চল। তখন প্রায় ৬শ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছিল। ইতো মধ্যেই ক্ষতি পুসিয়ে নিতে রোপা আমন ধান রোপন করে কাজে সময় কাটাতে ছিলেন। সুখের সন্ধ্যানে যাওয়ার নেশায় ,ছেলে মেয়েদের সুখ শান্তির আশায় ও সংসারের উন্নতি করতে কৃষকের চাষাবাদ করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। কিন্তু বন্যা এসে এই সব কৃষকের আশা ভরসা সব বিনষ্ট করে পথে বসিয়ে দেয়। বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামে শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছরের বন্যায় আমার রোপন করা রোপা আমন ধানের বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তারপর পানি নেমে যাওয়ায় অনেক দুর থেকে চারা নিয়ে এসে জমি রোপন করেছি সে জমিও পানিতে তলিয়ে গেছে। আমার কপাল খারাপ কি আর করবো। আসানবাড়ী গ্রামের শরিফুল ইসলাম বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় আবারও আবাদ করতে অনেক কষ্ট করে রোপা আমন ধান রোপণ করেছি। সার, বীজ, কীটনাশক ক্রয় করে অনেক টাকা ব্যয় করে উঠতেই বন্যায় আবারও ক্ষতি হলো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুনাহার লুনা জানান, এবারের ১ম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা যেন ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে সেজন্য ৭ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরিতে ব্যাপক ভাবে উৎসাহিত করা হয়েছিল। এছাড়া একটি ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল এবং ৪০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছিল। তারপর আবারও বন্যার তাড়াশে ৬শ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।