নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি মেস বাসায় জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে দুই জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত একজনকে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিট এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারী ইনিষ্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকার মফিজ হোসেন মজুর ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউসুফ (৩৫) ও নাহার (২৫) নামে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকীসহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জানা যায়, হিরাঝিল আবাসিক এলাকার মফিজ হোসেন মজুর মেস বাসায় মঙ্গলবার দুপুর ১টায় হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। এতে ঐ বাসায় থাকা শাকিল (৪২) ও পাসের বাসার গৃহবধু রানু (২৭) আহত হয়। আহতাবস্থায় শাকিল ও রানু ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিট এন্ড প্লাষ্টিকসার্জারী ইনিষ্টিটিউটে চিকিৎসা নেয়। তবে চিকিৎসা শেষে রানু এলাকায় ফিরে আসলেও গুরুতর আহত শাকিল সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গুরুতর আহত শাকিলের বাড়ি সিলেটে। সে হিরাঝিল এলাকায় একটি খাবার হোটেলের মেসিয়ার হিসেবে কাজ করতো। ঘটনার পর থেকে বাড়ির কেয়ারটেকার নসু পলাতক রয়েছে। আহত রানু জানায়, আমি ঐ কক্ষের পাশেই রান্নার কাজ করছিলাম। শাকিল ঐ কক্ষে ঢোকার সাথে সাথেই ঐ কক্ষে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে সাথে সাথে আমার পায়ে ও তার শরীরে আগুন লেগে যায়। আমি দৌড়ে আমার বাসায় গেলে সেখান থেকে আমাকে পরিবারের লোকজন ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিট এন্ড প্লাষ্টিকসার্জারী ইনিষ্টিটিউটে নিয়ে যায়। আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে ছাড়পত্র দিলে আমি বাসায় আসি। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ফারুক জানান, সন্ধ্যায় আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে বোঝা যাবে ঘটনার রহস্য। তবে তিনি আরো জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের প্রত্যেকটি এলাকায় বিপুল সংখ্যক অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এসব সংযোগগুলো নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে সংযোগ দেয়ায় অহরহ দূর্ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন (টিএন্ডডি) নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক বিপনন কার্যালয়ের ডিজিএম মফিজুল ইসলাম জানায়, আমি বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি তদন্তের জন্য লোক পাঠিয়েছি।