কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দ্বীপ প্রতিরক্ষার বেড়িবাঁধের কাজ শেষ না হতেই সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে। বাঁধ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে হলেও কাজ শেষ করা অংশে পনেরটির অধিক স্থানে ব্লকগুলো ধসে পড়ছে। এতে নির্মাণাধীন এ বেড়িবাঁধের টেকসই ও স্থায়ীত্ব নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাঁধ নির্মাণকাজে তড়িঘড়ির অভিযোগ দ্বীপের বাসিন্দাদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দাবি, ডিজাইনে কিছুটা ত্রুটি থাকার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহপরীর দ্বীপে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন দ্বীপ রক্ষায় নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধের সাগর অংশে দুই স্তরে ব্লক বসানো শেষ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের আগে দ্বীপের দক্ষিণ পাড়া এলাকার দিকে অর্থাৎ বেড়িবাঁধের শেষাংশে ব্লক বসানোর কাজগুলো খুব তাড়াহুড়া করে করা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রথম দিকের কাজগুলো খুব টেকসইভাবে করতে দেখেছি। কিন্তু দক্ষিণ পাড়া অংশে যেখানে সাগরের আগ্রাসন বেশি সেখানে এসে কাজে তাড়াহুড়া দেখা গেছে। প্রতিরক্ষা ব্লক বসানোর আগে বিছানো বালু পর্যন্ত গাড়ি দিয়ে ভালোভাবে চেপে দেয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো’র প্রকৌশলী বলেন, শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণাংশে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে সেটি আসলে ডিজাইনে ত্রুটির জন্য হয়েছে। আমরা সেটা ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি, নকশা পুনরায় বিবেচনা করার ব্যাপারেও আমাদের মতামত ব্যক্ত করেছি। আশা করি খুব দ্রুত সমাধান হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসটিএ গ্রুপের প্রতিনিধি উত্তম কুমার শাখারী (ননী) বলেন, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং পাউবোর নিয়মিত তদারকিতে আমাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাঁধ নির্মাণ কাজ করছে। সেখানে কোনো ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই। তবে জোয়ারে ব্লক সরে যাক বা থাক, শেষ পর্যন্ত আমরা একটি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করব।