ফের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলো পাকিস্তান ক্রিকেট। করোনাভাইরাসের লকডাউন শিথিল হওয়ার পর খেলাধুলা চালু হলেও, ক্রিকেট মাঠেই সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলি সব যেন আবার ওলটপালট করে দিলো।
২০০৯ সালের শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে এখনও পাকিস্তানের মাটিতে স্বাভাবিক হয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবু গত কয়েকবছরে বেশ গুছিয়ে এনেছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড ও সরকার। এরই মধ্যে এলো আরেকটি সন্ত্রাসী হামলার সংবাদ।
তবে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয়। বৃহস্পতিবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কোহাট বিভাগের ওরাকজাই জেলার দ্রাদার মামাজাই অঞ্চলে আমন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে এলোপাতাড়ি গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। সৌভাগ্যবশত মাঠে থাকা কারও তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।
সঙ্গত কারণেই পণ্ড হয়ে গেছে ম্যাচটি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, আমন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি দেখতে সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দর্শক উপস্থিত ছিলো স্টেডিয়ামে। ম্যাচ শুরু হতেই নিকটবর্তী এক পাহাড় থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি চালাতে করতে থাকে।
কোনোমতে পালিয়ে নিজেদের জীবন বাঁচিয়েছেন খেলোয়াড়, দর্শক এবং সাংবাদিকরা। গুলির তোড় এতোই বেশি ছিল যে ম্যাচটি পুনরায় শুরুর কথা ভাবতেও পারেনি আয়োজকরা। এ ঘটনায় মাঠের কেউ হতাহত হয়নি।
ওরাকজাই জেলার পুলিশ কর্মকর্তা নিসার আহমাদ জানিয়েছেন, ওই পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আনাগোনার কিছু খবর তাঁদের কানে এসেছিল আগেই। পুলিশ এখন সন্ত্রাসী ও অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে।