ePaper

বাজেট পাসে ব্যর্থ সিনেট, ছয় বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে ফের সরকার শাটডাউন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বাজেট নিয়ে অচলাবস্থার জেরে অবশেষে শাটডাউন শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এতে করে অনির্দিষ্টকালের জন্য অচল হয়ে গেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। মূলত সিনেটে ব্যয়বাজেট বিল পাসে ব্যর্থ হওয়ায় ছয় বছরেরও বেশি সময় পর এই পরিস্থিতির মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বহু সরকারি কর্মী বেতন ছাড়াই ছুটিতে যাবেন এবং সব না হলেও অনেক সেবা কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাবে। বুধবার (১ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বিবিসি বলছে, ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় মধ্যরাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে সরকার শাটডাউন। সিনেটে শেষ মুহূর্তের অর্থায়ন বিল পাস না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলো। এতে বহু সরকারি কর্মচারীকে বেতন ছাড়া ছুটিতে পাঠানো হতে পারে এবং বহু সরকারি কর্মসূচি ও সেবা কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।

এছাড়া ২০১৮-১৯ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রে এটিই প্রথম সরকার শাটডাউন। তবে জরুরি পরিষেবা চালু থাকলেও জরুরি নয় এমন বিভাগ ও কর্মীরা এর বাইরে থাকবে। শনিবার রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ব্যয়বাজেট প্রস্তাব গৃহীত না হওয়ায় দেশজুড়ে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোনও কারণে কংগ্রেস যদি ব্যয় বিল পাস করতে ব্যর্থ হয় বা প্রেসিডেন্ট সেই বিলে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন, তখনই ঘটে ‘শাটডাউন’। এ অবস্থায় বেশিরভাগ ফেডারেল সংস্থা খরচ চালাতে পারে না এবং অপ্রয়োজনীয় কার্যক্রম থেমে যায়।তবে জাতীয় নিরাপত্তা, সীমান্ত সুরক্ষা কিংবা আকাশপথ নিয়ন্ত্রণের মতো জরুরি কার্যক্রম চালু থাকে।

এমন অচলাবস্থার পেছনের মূল কারণ সাধারণত দলীয় দ্বন্দ্বই। ২০১৮–১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসের দীর্ঘতম ৩৫ দিনের শাটডাউনের মুখে পড়েছিল। তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দে জোর দিচ্ছিলেন।

সেসময় এর প্রভাব পড়েছিল লাখো সরকারি কর্মীর ওপর। এসব কর্মীর অনেকে বেতন ছাড়াই সেসময় কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন, আবার অনেকে সাময়িক ছুটিতেও চলে গিয়েছিলেন। সরকারি সেবার সঙ্গে জড়িত ঠিকাদার ও ব্যবসাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এছাড়া পাসপোর্ট, ঋণ, অনুদান কিংবা জাতীয় উদ্যান বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনায় সাধারণ মানুষও ভোগান্তিতে পড়েন।

One thought on “বাজেট পাসে ব্যর্থ সিনেট, ছয় বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে ফের সরকার শাটডাউন

  1. বাজেট পাস না হলে শাটডাউন হয়েছে, আমরা তো শুধুই মতামত বিনিময় করছি আমাদের নিজেদের বাজেট সম্পর্কে! কখনো হতে পারে সিনেট আমাদের বেতন পাস করবে না? তাহলে আমরা সবাই সরকারি দপ্তরে বসে মত মেশাবো। আর যারা বেতন পাবেন না, তারা আমাদের সাথে একদিকে বসবেন আর অন্যদিকে কথা বলবেন যে কীভাবে বেতন পাওয়া যায়। হাসি হাসি, এই হচ্ছে আমাদের দেশে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *