ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে হাতে নাতে এক পুলিশ সদস্যসহ ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব ৪। এসময় চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ সহ দেশীয় অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২৬ জুলাই) রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা – মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার শ্যামপুর গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে মো. মমিনুর রহমান। সে বর্তমানে আশুলিয়া থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ছোনকা গ্রামের মো. আবদুল লতিফের ছেলে আবদুল হামিদ (মাইক্রোবাস চালক)। গাইবান্ধা জেলার সদর থানার চৌদ্দগাছা গ্রামের মৃত তফাজ্জল মিয়ার ছেলে ওয়াহেদ ও জামালপুর জেলার মালন্দ থানার চরগুহিন্দি গ্রামের মো. সরুজ শেখের ছেলে ওয়াজেদ শেখ।
এ ব্যপারে ভুক্তোভোগী নুর উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, গত বুধবার (২২ জুলাই) রাতে আমার জামগড়ায় নুর মেডিকেল হল নামে ওষুধের দোকানে বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ রয়েছে দাবী করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে। পরে রোববার রাতে (২৬ জুলাই) দাবীকৃত বাকী টাকা নিতে আসার কথা জানালে আমি বিষয়টি আশুলিয়ার নবীনগরে র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ এ বিষয়টি অবহিত করি। পরে র্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের অপেক্ষায় করতে থাকে। তারা আসলে তাদের হাতে নাতে আটক করে।
এ ব্যপারে র্যাব ৪ (সিপিসি-২) এর কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দিন জানান, আগে থেকেই অবস্থান নিয়ে তাদের হাতে নাতে আটক করি। এরমধ্যে আশুলিয়ার থানার একজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। তল্লাশী করে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র , জাল টাকা, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ব্যাংকের ১৬টি এটিএম কার্ড পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় চাঁদাবাজি, অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতির প্রস্তুতি বিষয়ে মোট ৪ টি মামলা দায়ের করা হবে। দুইটি মামলা ভুক্তভোগী নুর উদ্দিন বাদী হবেন, ও বাকী দুইটি র্যাব -৪ বাদী হবেন বলেও জানান তিনি ।
দৈনিক নবচেতনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন