ePaper

ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব নয়: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

সওকত আলী খান বাদল, চট্টগ্রাম

ভারী বৃষ্টির পর চট্টগ্রাম নগরীর পানিপ্রবাহ পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল বুধবার সকালে তিনি কাপাসগোলা, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, মুন্সিপুকুর পাড়, বাদুরতলা ও টুপি ওয়ালা পাড়া এলাকার বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শনকালে কাতালগঞ্জ-বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যার পেছনে দুটি কারণ চিহ্নিত হয়। নগরীর হিজড়া খাল এবং বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে হিজড়া খালের সাথে সংযুক্ত বড় নালাটিতে জলপ্রবাহ নিরবিচ্ছিন্ন না না থাকাই জলাবদ্ধতার মূল করাণ হিসেবে চিহ্নিত হয় পরিদর্শনে। এজন্য মেয়র সিডিএ’কে হিজড়া খাল সংস্কার কার‌্যক্রম বেগবান করতে নির্দেশনা দেন এবং খালের সাথে সংযুক্ত বড় নালাটি থেকে আরো মাটি উত্তোলনের জন্য চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগকে নির্দেশনা দেন। পরিদর্শন শেষে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হলে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। চসিকের আওতাধীন ড্রেনেজ ব্যবস্থার পাশাপাশি ওয়াসা, সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে খাল ও ড্রেনসমূহ যথাযথভাবে পরিষ্কার ও সংস্কার করতে হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব নয়। এ জন্য নগরবাসীর সহায়তা ও আন্তঃসংস্থাগত সমন্বয় জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে চসিকের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেন পরিষ্কার, পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন এবং ভাঙা-ধসে পড়া ড্রেন মেরামত করা হচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি ও মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানাই।” মেয়র আরও বলেন, “শুধু সরকারের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিলে হবে না, নাগরিকদের নিজেদের দিক থেকেও দায়িত্বশীল হতে হবে। ড্রেন ও খালে আবর্জনা না ফেলা এবং নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। চসিক নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে, কিন্তু জনগণ সচেতন না হলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।” পরিদর্শনকালে মেয়রের সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র সহকারী সচিব জিল্লুর রহমান, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম, চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও স্থানীয় ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বিভিন্ন পরামর্শ তুলে ধরে মেয়রের কাছে দ্রুত কার‌্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *