ePaper

ডাক্তার হয়ে মানুসের সেবা করতে চায় আলফাডাঙ্গার তাসমিন ইসলাম

রোকসানা পারভিন (ফরিদপুর) আলফাডাঙ্গা

নুসরাত ইসলাম এ বছর এসএসসি পরিক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন এ+ সহ সর্বমোট ১২২৫ নম্বর পেয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। আশপাশের উপজেলার মধ্যে থেকে র্বশ্রেষ্ঠহয়েছেন আলফাডাঙ্গার তাসমিন ইসলাম। তিনি আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ দ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার পিতামুহাম্মাদ মেহেরুল ইসলাম আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও মাতা নাসিমা খাতুন উপজেলার হাজী আলেকজান কলেজের প্রভাষক। শিক্ষক দম্পত্তির বড় কন্যা এই তাসমিন ইসলাম। তিনি বড় হয়ে ডাক্তার হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করতে চান। তিনি ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২২৫ নম্বর পেয়েছেন। বিগত বছরের গুলোর মধ্যে সর্বচ্চ নম্বর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদুল ইসলাম। এ নিয়ে তাসমিন ইসলামের সাথে কথা হলে বলেন, উপজেলার সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছি। এ জন্য সর্বপ্রথম মহানসৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার পিতা-মাতা দুইজনই আমাকে সবসময় সার্পোট দিয়েছেন। আমার প্রিয় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সহপাঠীরা আমার এ ফলফলের অংশীদার। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি ভবিষৎএডাক্তার হয়ে সাধারণ অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই। ‘যদি লক্ষ্য অটুট আর শিক্ষক মহোদয়গণের ও পিতা-মাতার সহযোগীতা অব্যহত থাকে তাহলে আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। শুধু এতটুকু বলতে চাই। লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা যায় তাহলে একজন শিক্ষার্থী ইচ্ছা করলে তার সুপ্ত প্রতিভাকে বিকাশ ঘটাতে সক্ষম। তিনি তার সহপাঠী ও অন্য শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে আরও বলেন, বাবা-মা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুখ উজ্জ্বল করতে অবশ্যই কু-অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। মোবাইলে আসক্ত হলে চলবে না। অসৎ সংঘ্য ত্যাগ করতে হবে। পড়ালেখায় ক্ষতি হোক এমন কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে। সময় অপচয় রোধ করে পড়ার টেবিলে মনযোগ বাড়াতে হবে। পরিশেষে তিনি সকল শ্রেণির মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তাসমিন ইসলামের পিতা-মাতা বলেন, এ দেশের মধ্যে অধিকাংশ বাচ্চাদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে। এটা সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে। মোবাইলে আসক্ত যে কোনো মূল্যে দূর করতে হবে। সন্তানের প্রতি বাড়তি মায়া দেখিয়ে তার সর্বনাশ ডেকে আনা থেকে বিতর থাকতে হবে। আমাদের বড় সন্তান তাসমিন ইসলামের ফলাফল আরো ভালো হতে পারতো। জেলা বা দেশ সেরা হতে পারতো। এটা হয়নি সেটাও আমাদের ব্যর্থতা বলা যায়। তারপরেও যতটুকু পেরেছে আলহামদুল্লিলাহ। আমাদের তাসমিনের জন্য দোয়া করবেন। সে যেন বড় হয়ে ডাক্তার হয়ে সাধারণ ও অসহায় মানুষের সেবা করতে পারে। আরফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদুল ইসলাম বলেন, তাসমিন ইসলাম আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে এবছর এসএসসি পরিক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সর্বচ্চ নম্বর পেয়েছে। শুধু এ প্রতিষ্ঠান নয় খবর নিয়ে জানতে পারলাম আলফাডাঙ্গা উপজেলাসহ আশপাশের অনেক একাধিক উপজেলার মধ্যে সর্বচ্চ নম্বর পেয়েছে। বিগত বছরগুলোতে জিপিএ সিস্টেম চালু হওয়ার পর এটাই সর্বচ্চ নম্বর। এ জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাসমিনের এমন ফলাফলে অন্য শিক্ষার্থীরা উৎসাহ পাবে। আগামীতে এ প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক ভালো ফলাফল করবে বলে আমরা আশা করছি। তার পিতা-মাতাসহ আমাদের শিক্ষকমন্ডলীরা অনেক শ্রম দিয়েছেন। এ জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞাত প্রকাশ করছি। সুনলাম তাসমিন বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। আমাদের দোয়া রইল তার প্রতি সে যেন বড় চিকিৎসক হয়ে সাধারণ ও অসহায় মানুষের সেবা করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *