ePaper

৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক: বাংলাদেশের আর্থিক খাত ও জলবায়ু–সহিষ্ণু উন্নয়নে নতুন অধ্যায়

৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, যা বাংলাদেশের আর্থিক খাত ও জলবায়ু–সহিষ্ণু উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে।
৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক: আর্থিক খাত উন্নয়ন ও জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি।

৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, যা বাংলাদেশের আর্থিক খাতের নীতিমালা শক্তিশালীকরণ এবং জলবায়ু–সহিষ্ণু উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এই ঋণের আওতায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই করার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

বিশেষ কর্মসূচি এবং লক্ষ্য

বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ ‘সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির লক্ষ্য হলো—অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় রাখা, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষমতা তৈরি করা।

ঋণের শর্তাবলী এবং মেয়াদ

এই ৫০ কোটি ডলারের ঋণ দুই ভাগে বিভক্ত:

  1. নিয়মিত তহবিল:
    • ঋণ পরিমাণ: ২৫ কোটি ডলার।
    • মেয়াদ: ৩০ বছর।
    • সুদ: ১.২৫%।
    • গ্রেস পিরিয়ড: ৫ বছর।
    • কমিটমেন্ট ফি: ০.৫০% (মওকুফ করা হতে পারে)।
  2. স্বল্প মেয়াদি তহবিল:
    • ঋণ পরিমাণ: ২৫ কোটি ডলার।
    • মেয়াদ: ১২ বছর।
    • গ্রেস পিরিয়ড: ৬ বছর।
    • সুদ: শূন্য।
    • শুধুমাত্র কমিটমেন্ট ফি: ০.৫০%।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহ

অর্থ বিভাগ এই কর্মসূচির প্রধান বাস্তবায়নকারী সংস্থা। এছাড়া, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত থাকবে।

বিশ্বব্যাংকের অবদান ও বর্তমান প্রকল্পসমূহ

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের অবদান অনস্বীকার্য। স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছে। বর্তমানে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলারের ৫২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে, যা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে।

উন্নয়নের পথে এগিয়ে বাংলাদেশ

৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, যা শুধু দেশের আর্থিক খাত নয়, বরং জলবায়ু–সহিষ্ণু উন্নয়নকে বেগবান করবে। এ ঋণ দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আপনি আরো অর্থনীতি খবর আপডেট পড়তে

Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *