মধুখালী প্রতিনিধি
বেশি বৃষ্টির প্রয়োজন হয় না, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি উঠে যায়। এতে পুরো রাস্তাটি কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। এরপর যানবাহন, স্কুল শিক্ষার্থী, অফিসগামী মানুষ ও পথচারীদের চলাচলে দেখা দেয় মারাত্মক সমস্যা। সরেজমিনে দেখা যায়, ডুমাইন ক্লাব প্রধান সড়ক থেকে সাতভাই পাড়া হয়ে কিছুদুর যাওয়ার পর ডুমাইন মাঠের দিকে যাইতে কিছুদুর যাওয়ার পর সড়কটি পানি ও কাদায় একাকার হয়ে আছে। সাবধানে চলছে পথচারীরা। আর যানবাহন চলার কায়দা নাই। পুরো রাস্তাটি মাটি, কাদা ও ইট এবড়োথেবড়ো হয়ে আছে। এছাড়া এই সড়কের দুইপাশের সরকারী জায়গায় ড্রেন না থাকায় ও বাড়ী থেকে রাস্তা নিচু হওয়ার কারনে বৃস্টির পানিতে দখল করে থাকে রাস্তাটি। তাছাড়া আরও জানা যায় রাস্তার ধারে প্রায় বসতিরা সরকারী জায়গা দখল করে টিনের বেড়া ও ইটের ওয়াল গাথার কারনে রাস্তা নিচে হয়ে পানি জমে থাকে রাস্তার উপর দিয়ে। যার কারনে চলাচলের চরম অসুবিধা হয় পথ চলতে। এ বিষয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আশপাশের বাসা-বাড়ির চেয়ে সড়কটি নিচু। এছাড়া ১০ মিনিট বৃষ্টি হলেই পানি ও কাদায় একাকার হয়ে যায় রাস্তা টি। এতে দেখা দেয় মহাদুর্ভোগ। এছাড়া হালকা বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে থাকে। ভারি বৃষ্টিতে পুরো রাস্তা তলিয়ে যায়। তাই রাস্তার পানি নিষ্কাসনের জন্য সরকারী জায়গা বুঝে নিয়ে এবং দখল মুক্ত করে পানি নিস্কাষনের জন্য রাস্তার পাশে সরকারী ড্রেন অতি জরুরী। এই এলাকার ভ্যান চালক ও আশেপাশে থেকে আগত ভ্যানচালকরা বলেন, হালকা বৃষ্টিতেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। বুধবার (১৮ই) জুন কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতে কাদাপানিতে সড়কটি একাকার হয়ে গেছে। যখন বেশি বৃষ্টি হয় তখন গাড়ি চলাচলই দায় হয়ে পড়ে এ সড়কে। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ, পথচারী, স্থানীয়দের অনেক কষ্ট করতে হয়। কিন্তু বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। সড়কের পাশে বসবাসকারী শেখ আশরাফুল ইসলাম মতি বলেন, ৩৯০০নং এস.এ. এবং বিএস ৭০১৫নং দাগের সরকারী হালটি ১৪শতাংম জমির উপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (অূমি) বরাবর আবেদন দেওয়ার কিছুদিন পর পর দেখি সরকারের লোকজন এসে সড়কের বিভিন্ন দিকে মাপজোক করে। ডুমাইন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা রিপোট পেশ করেন যে, রাস্তার ধারে বসবাসকারী কিছু সংখ্যাক লোক সরকারী জায়গা দখল করে আছে যাহা দখলমুক্ত করা অতি জরুরী। এরপর থেকে কিন্তু রাস্তা ও বাড়ি-ঘরের পানি সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা তো করে না। সরকারী জায়গা বুঝে নেওয়ার এবং সড়কটিরও সংস্কার হয় না। তিনি আরও বলেন, এখন বৃষ্টির দিন আসছে। না জানি এলাকাবাসীকে আরো কত বড় সমস্যায় পড়তে হয়! অবিলম্বে সড়কটি সংস্কার ও পানি প্রবাহের জন্য ও রাস্তা পরিচর্যা করার জন্য এবং সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি জানান তিনি।