ePaper

সিরাজগঞ্জে মৎস্য ভান্ডার খ্যাত বিলগুলোর অস্তিত্ব বিপন্ন

রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ

মৎস্য ভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে বিল। এক সময় এই বিলে প্রচুর পরিমাণ দেশি জাতের মাছ পাওয়া যেত। এখন আর সেই বিলও নেই মাছও নেই। চারিদিকে বাঁধ ও বিলগুলো ভরাট ও সংকুচিত হয়ে আসায় বন্যাও আসে না আবার যেখানে বন্যার পানি আসে সেখানে মাছের আবাসস্থল না থাকায় মাছ বড় হতে পারে না বলে সচেতন মহলের অভিমত। সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় বর্তমানে ৮৫টি বিল রয়েছে। প্রবীণদের কাছ থেকে জানা যায়, চলন বিল, কাদাই বিল, কালিয়া হরিপুর বিল, জামতৈলের চত্রা বিল, ধলেশ্বর বিল, কৈজুড়ী বিল, সুবর্ণসাড়াবিল, বানিয়াগাঁতী বিল, রসুলপুর পাগলা ছাগলার বিল, ধলেম্বর জবখালি বিল, কর্নসূতির বৈঠাখালির বিল, সগুনার বিল, পেতাজিয়া বিল, রাউতারার বিলসহ জেলায় ছোট বড় মিলে শতাধিক বিল ছিল। এই সব বিলে বর্ষার সময় বন্যার পানিতে প্রচুর পরিমাণে মাছ আসতো। আশ্বিন-কার্তিক মাসে যখন পানি শুকিয়ে যেত তখন বাউতের মাধ্যমে মাছ ধরার উৎসব চলতো এক এক দিনে এক এক বিলে মানুষ উৎসবের মত আনন্দ উল্লাসের সাথে এই সব বিলে ভোরে মাছ ধরতে যেত। এসময় বড় বড় রুই, কাতলা, বোয়াল, শোল, চিতল, বাউশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরতো। এছাড়া ছোট মাছের তো বালাইই ছিল না। এই সময় এত মাছ ধরা পরতো যে মাছ খেতে না পারায় অনেক মাছ পচে যেত। এই সব পচা মাছ মাটিতে পুতে রাখতো। পচা মাছের গন্ধে বিভিন্ন এলাকায় কলেরা দেখা দিত। এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান জানান, এবছর জেলায় ২৪টি বিল নার্সারী করা হয়েছে। যেগুলোতে ইতোমধ্যেই কার্প জাতীয় রেনু পোনা ছাড়া হয়েছে। বিলগুলোতে পানি হলে এই পোনাগুলো ছড়িয়ে বড় বড় মাছ হবে। এছাড়াও মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন, মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ ইত্যাদি কার্যক্রম চালু আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *