ePaper

সারের স্মার্ট ব্যবস্থাপনা ও প্রোবায়োটিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে গাকৃবিতে কর্মশালা

সাইফুল্লাহ, গাজীপুর প্রতিনিধি:

আগামীর কৃষিতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় নিরাপদ ও অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে “সারের স্মার্ট ব্যবস্থাপনা ও প্রোবায়োটিক প্রযুক্তি: ফসল উৎপাদনে গ্রিনহাউস গ্যাস কমিয়ে কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাসের নতুন দিগন্তচ্ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)চ্ প্রকল্পের অর্থায়নে এবং প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে ১৯ নভেম্বর (বুধবার) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য হলো আধুনিক কৃষিকে আরও পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এগিয়ে নেওয়া। সারের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ভিদ-প্রোবায়োটিকভিত্তিক রাইজো-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি কীভাবে ফসল উৎপাদনে গ্রিনহাউস গ্যাস কমাতে পারে এবং সামগ্রিক কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস করতে পারে তা কৃষক, গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা। গুরুত্বপূর্ণ এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মাসুমা হাবিব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, পরিচালক, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম, শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনায় তিনি কৃষির চলমান চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে স্বল্প ব্যয়ে আধুনিক প্রযুক্তিগুলো গ্রহণ করলে কীভাবে দেশের কৃষি উৎপাদন আরও নিরাপদ, টেকসই ও জলবায়ুসহনশীল হতে পারে সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রবন্ধ উপস্থাপনা শেষে ভাইস-চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রাণবন্ত আলোচনার মাধ্যমে ফলপ্রসূ মন্তব্য উঠে আসে। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মাসুমা হাবিব এ প্রজেক্টের মাধ্যমে লব্ধ গবেষণা যেন কৃষি বিপ্লবের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকে সেদিকে লক্ষ রাখার আহ্বান জানান। পরে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “খাদ্য নিরাপত্তায় সারের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও ফসলে প্রোবায়োটিক প্রযুক্তির ব্যবহার বর্তমানে অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। এ প্রজেক্টের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সফলতা পাওয়া সম্ভব যা দেশের কৃষির জন্য এক মাইলফলক অর্জন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *