মো.তাসলিম উদ্দিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সরাইল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সচেতনতামূলক কর্মশালা ও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এক সচেতনতামূলক কর্মশালা ও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে গতকাল সোমবার সকাল বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। পর্যায়ক্রমে দুপুর এক’টা পর্যন্ত দুটি অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন। জেলার সমন্বয়ক মেরাজুল ইসলাম এ কর্মশালায় গ্রাম আদালত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, সরাইল উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো . আনিছুল ইসলাম ঠাকুর, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো.জামাল উদ্দিন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো.মনির মিয়া। সরাইল রিপোর্টার ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক মো. তাসলিম উদ্দিন, মাওলানা মইনুল ইসলাম খন্দকার, সরাইল উপজেলা এনসিপির সমন্বয়ক হাজী মোবারক হোসাইন, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ, সরাইল সুকের পরিচালক আব্দুল মমিন, সরাইল সদর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া। সরাইল উপজেলা মডেল মসজিদের ঈমাম বাকি বিল্লাহ, সরাইল মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাত সুলতানা, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের ইতি বেগম, উপজেলা প্রাইমারি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা সায়মা সাবরিনা ও শাহরিমাপ্রমুখ। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, গ্রাম আদালত চালু থাকায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিনাখরচে আইনী সেবা পাচ্ছেন। গ্রাম্য সালিশ কোন আইনী কাঠামো নয়। গ্রাম আদালতের রায় আইনী কাঠামোতে স্বীকৃতি পায়। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় ও দুস্থ নারী-পুরুষ কোন আইনজীবী নিয়োগ ছাড়াই নিজে গ্রাম আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে নায্য বিচার পেতে পারেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত চালু রয়েছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালতে মোট ১১৯টি মামলা দায়ের এবং ৭১টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে।
