ePaper

রমজানে বেশিরভাগ পণ্যের দাম স্থিতিশীল/স্বস্তিতে সরাইলের ক্রেতারা

মো. তাসলিম উদ্দিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সরাইল

সরাইল উপজেলায় পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে। বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের স্থিতিশীল থাকায়। ক্রেতারা স্বস্তিতে দ্রব্যমূল্য ক্রয় করছেন। অন্যান্য সময়ে পবিত্র রমজান মাসে সাধারণত নৃত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতাদেখা গেলেও এ রমজানে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্হার বাজার তদারকি এবং বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে। চিনি, ডাল, খেজুর, পেঁয়াজ, শসা, আলু, টমেটো, ডিম, রসুন, কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ, আদা সহ বেশিরভাগ নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেকটাই সশ্রয়ীমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। এবারের রমজানে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশিরভাগ পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে, যা ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে। বাজারে বড় কোনো অসঙ্গতি নেই, যদিও চাল এবং বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা চাপে রেখেছে ক্রেতাদের। রমজানের শুরুতে সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট দেখা দিলেও বর্তমানে খোলা সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে বোতলজাত তেলের সংকট এখনো পুরোপুরি কাটেনি, যার ফলে দোকানিরা বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন, কেউ ১৮৫ টাকা, কেউবা ১৯০ টাকা লিটার দরে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম কম। করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০-৫০ টাকা এবং টমেটো ২০-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত রমজানে চাহিদা বাড়ে এমন শসা, বেগুন ও লেবুর দামও কম। বেগুন বর্তমানে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগের তুলনায় কম। লেবুর হালি ৬০ টাকা এবং শসা ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এবার পেঁয়াজের দামেও পতন হয়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে, যেখানে গত বছর এই সময় প্রতি কেজির দাম ছিল ১১০-১৩০ টাকা। আলুর দামও অর্ধেকে নেমে এখন ২০-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজার করতে এসে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। মনির নামে এক ক্রেতা জানান, “আগের বছরের তুলনায় এবার সবকিছু বেশ স্বাভাবিক ও সাশ্রয়ী মনে হচ্ছে। দামের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ নেই।” মুরগির দামও সাম্প্রতিক সময়ে কমেছে। সরাইল বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে, প্রথম রোজায় ডিমের ডজন ১৩০ টাকা ছিল, যা এখন ১১৯ টাকায় নেমেছে। এছাড়া চিনি, খেজুর এবং ডালের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। তবে চালের বাজারে অস্বস্তি কাটেনি। যদিও কিছু পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি এখনো ক্রেতাদের ভাবিয়ে তুলছে। সব মিলিয়ে এবারের রমজানে বেশিরভাগ পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকায় বাজারে স্বস্তি ফিরেছে, এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং চলমান আছে। বর্তমানে উপজেলার বাজার গুলোতে বেশিরভাগ পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া রমজান সামনে রেখে বিশেষ পর্যবেক্ষণ কর্মকাণ্ড চলমান। এতে করে বাজার পরিস্থিতি অচিরেই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *