মোহাম্মদ আলী, ভোলা
ভোলার মেঘনা নদীতে এ মৌসুমে প্রচুর জাটকা ইলিশ ধরা পড়ছে। কিন্তু আশানুরূপ বড় আকারের ইলিশ (গ্রেট ইলিশ) না মেলায় হতাশ জেলেরা। প্রতিদিন নদীতে ছোট আকারের ইলিশের জালে ভরে উঠলেও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয় জেলে শাজাহান জানান, নদীতে জাটকা প্রচুর, কিন্তু বড় ইলিশ একেবারেই নেই। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছি।” তাদের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে কারেন্ট জালের ব্যবহার ও প্রজনন মৌসুমে সরকারের সংরক্ষণ কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় বড় ইলিশের উৎপাদন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে ইলিশের সরবরাহ থাকলেও বড় ইলিশের ঘাটতি দামের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ১ কেজির ওপরে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩, ০০০-৩, ২০০ টাকা দরে। ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম ২, ০০০-২, ২০০ টাকা। ৪০০-৬০০ গ্রামের মাঝারি ইলিশ ২, ৫০০-৩, ০০০ টাকায় হালি/পরিমাপ অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে। সম্প্রতি ভোলার দৌলতখান মদনপুর ঘাটে ধরা পড়া ২.৭০ কেজির “রাজা ইলিশ” নিলামে বিক্রি হয়েছে ৬, ৪৮০ টাকায়। বড় ইলিশের অভাবের কারণে দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে একদিকে জেলেরা পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত আয়, অন্যদিকে ক্রেতারা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। এ বিষয়ে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বড় ইলিশ না পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, আগামী মাসে ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হলে নদীতে আবারও বড় আকারের ইলিশের প্রাচুর্য দেখা যাবে।
