ePaper

ভেঙে পড়া সেতুতে দুর্ভোগে ৪ গ্রামের মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে গেছে ব্রিজ। পরে যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় মানুষজন তৈরি করেন বাঁশের সাঁকো। সেটিও এখন নড়বড়ে। দীর্ঘ আট বছর ধরে এমন ভোগান্তিতে চলাচল করলেও নজর পড়েনি স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগের। ফলে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার চার গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ। জানা গেছে, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে মেকলী ও ছাটকালুয়া গ্রামের কামারের ছড়া বিলের ব্রিজটি ওই এলাকার একমাত্র যাতায়াতের পথ ছিল। ২০১৭ সালে ভয়াবহ বন্যায় ব্রিজের তলদেশের মাটি সরে গিয়ে ভেঙে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই এলাকার মেকলী, ছাটকালুয়া, চতুরভুজ, গড়ের বাজার গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সেখানে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হলেও সেটিও এখন নড়বড়ে হয়ে চলাচলের অনুপযোগী। স্থানীয় বাসিন্দা জহুর আলী (৫৬) বলেন, ব্রিজটি পুরোনো হওয়ায় বন্যায় ভেঙে যায়। সেই থেকে আর এখানে ব্রিজ হয়নি। পরে এলাকাবাসী প্রথমে বাঁশের সাঁকো এবং পরে ড্রাম দিয়ে ভেলা তৈরি করে অনেক কষ্টে যাতায়াত করছেন। ওই গ্রামের মোজাফ্ফর আলী জানান, আশেপাশের গ্রামগুলোতে যদি রাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তাদের প্রায় আট থেকে ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়। রাতে কোনোভাবেই এই ব্রিজ দিয়ে পারাপার হওয়া সম্ভব না। পাশেই একতা বাজার, কিন্তু ব্রিজের কারণে যেতে পারি না। ছাটকালুয়া গ্রামের আবুল হোসেন (৫৫) জানান, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর গ্রামবাসী ড্রামের ওপর ভাসমান বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে। তাও প্রতিবছর ভেঙে যায়। আমরা কয়েক গ্রামের মানুষ টাকা ও ধান তুলে বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো নির্মাণ করে খুব কষ্টে চলাচল করছি। এ বিষয়ে উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান জানান, ছাটকালুয়া ও মেকলী দুই ওয়ার্ডের মাঝামাঝি এই ব্রিজটি ২০১৭ সালে বন্যায় ভেঙে যায়। এরপর গ্রামবাসী ভাসমান বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার হচ্ছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ মণ্ডল বলেন, বিলো ১০০ মিটার প্রকল্পের মাধ্যমে সেখানে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *