মধুখালী প্রতিনিধি
বয়সের তথ্য গোপন করে গ্রাম পুলিশের চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ মিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। মিরাজুল ইসলাম প্রকৃত বয়স গোপন করে গ্রাম পুলিশের চাকরিতে বহাল তবিয়তে আছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রাম পুলিশ মিরাজুল ইসলাম এর ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ ১লা জানুয়ারী ১৯৭০ইং, ভোটার তালিকায় জন্ম তারিখ ১১-৫-১৯৭৫ইং আর চাকুরীতে যোগদানের তারিখ ২৭-০২-২০১১ ইং তারিখ আর সেখানে দেওয়া আছে জন্ম তারিখ ০৫-০৫-১৯৮৩ইং। আর (কাবিন মূলে জন্ম তারিখ ২৯-৯-১৯৬৮ইং তারিখ কারন ২৯-৯-১৯৯১ইং তার বিবাহ হয়। তখন তার বয়স কাবিনে আছে ২৩বছর। কাবিনে বর্তমান বয়স ৫৭ বছর, এনআইডি কার্ড অনুযায়ী বয়স ৫৫ বছর ২মাস। আর ঁজন্ম সনদ দিয়ে চাকুরীর বয়স ৪২বছর চলমান। আবার তিনি তেমন লেখাপড়া জানেন না তার আইডি কার্ডে টিপসহি আছে, তার কোন একাডেমিক সার্টিফিকেট নাই। তবে পরিবারের জানামতে তিনি ২/৩ ক্লাস পড়েছেন আর লেখাপড়া করেন নাই। তবে চাকুরীতে অষ্টম শ্রেনী পাশের সার্টিফিকেট দিয়েছেন যেহেতু নিয়োগে অষ্টম শ্রেনী পাশ ছিল। পক্ষান্তরে তিনি চাকুরীতে যে স্কুলের সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন তিনি কোন দিন ঐ স্কুলে খেলাপড়া করেন নাই যা সমপূর্ন জালিয়াতি বা প্রতারনা বলা চলে। কিন্ত তিনি বয়স কমিয়ে ভূয়া সার্টিফিকেট ও জন্ম সনদ দিয়ে আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ বাদ রেখে তিনি এখনও দিব্যি চাকরি করে যাচ্ছেন। প্রায় ১৪বছর ধরে প্রকৃত বয়স গোপন রেখে চাকরি করে যাচ্ছেন মিরাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে সরকারি বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন দাপটের সাথে। এ ছাড়া স্থানীয়দের অভিযোগ এই নাকি গ্রামপুলিশের কাজ। তাছাড়া গ্রাম পুলিশ মিরাজুল ইসলাম নিজের মায়ের নিকট থেকে ৭জন শরীকের অংশ ফাঁিক দিয়ে ৫৪ শতাংশ জমি তাদের ভাগবন্টন না দিয়ে নিজের নামে লিখে আত্নসাত করেছেন। মা জানে মা এর জমি আরও আছে। কিন্তু রেজিষ্ঠারী করার মত মা এর নামে আর নাই। তাছাড়া তার অত্যাচারে ওয়ার্ডবাসী অতিষ্ঠ যাহা ওয়ার্ডে তদন্ত করলে প্রকৃত চিত্র সহ আরো ঘটনা জানা যাবে। শরীকের জমি ফাকিঁ দেওয়ার ব্যাপারে শরীকের পক্ষ থেকে দরখাস্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর সহ আড়পাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত দেওয়া হবে।।