লিয়াকত হোসেন, ফরিদপুর ব্যুরো
ফরিদপুরে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কর্মকর্তা কর্মচারী শিক্ষক কেয়ার টেকার ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১১ টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে উক্ত কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ফরিদপুর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর সভাপতি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ফিল্ড সুপারভাইজার আবু আলী, ফিল্ড মাবুদ কো-অর্ডিনেটর মাহফুজুর রহমান, মডেল কেয়ারটেকার মাহমুদুল হাসান, শিক্ষক প্রতিনিধি কবির হোসাইন, মধুখালী উপজেলার শিক্ষক মুফতি মনিরুজ্জাম, নগরকান্দা উপজেলার মাওলানা মো. হেদায়েতুল্লাহ, বোয়ালমারী উপজেলা শিক্ষক আবু দাউদ খান ও মুফতি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন শাখার শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরে বলেন “৯০% মুসলিমদের রাষ্ট্রে আজকে আমরা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছি। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত আমাদের শিক্ষক শিক্ষিকাদের তিন মাস বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা শিক্ষকরা ৫০০০ টাকা বেতন পাচ্ছি। যে বেতনে বর্তমানে বেঁচে থাকা অত্যন্ত কষ্টকর। আমাদের এই বেতন বৃদ্ধির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি। বক্তারা বলেন অনতিবিলম্বে ঈদের আগে আমাদের বেতন বোনাস বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকাগনকে চিকিৎসা ভাতা দিতে হবে। আমাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। শিক্ষক, কেয়ারটেকার, সুপারভাইজার সহ সকলকে বেতন ভাতা প্রদান করতে হবে। আমাদের প্রকল্পকে স্থায়ীকরণ করতে হবে। আউটসোর্সিং থেকে আমাদেরকে দাসত্ব মুক্ত করতে হবে। ইসলামী ফাউন্ডেশনকে রাজস্ব খাতে নিয়ে সরকারীকরণ করতে হবে। এই প্রকল্পের সকলকে রাজস্ব খাতের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষাকে আউটসোর্সিং মুক্ত করার দাবি জানানো হয়। এ ব্যাপারে বিভিন্ন ইসলামিক রাজনৈতিক দল গুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে তাদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়, দাবি সমূহ হচ্ছে- ১। আউটসোর্সিং বাতিল করতে হবে; ২। সকল জনবলকে রাজস্ব ভুক্ত করতে হবে।; ৩। কর্মী ও কেয়ারটেকারদের স্কেল ভুক্ত করতে হবে।; ৪। শিক্ষকদের সম্মানী বৃদ্ধি করতে হবে।; ৫। আসন্ন ঈদের পূর্বে প্রকল্প অনুমোদন করে সকল শিক্ষক ও কেয়ারটেকার ও জনবলের বকেয়াসহ বেতনভাতাদি পরিশোধ করতে হবে।