পাঁচ দফা দাবিতে দুই শিক্ষার্থীর অনশন অব্যাহত রয়েছে রাজধানীর বছিলার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) ক্যাম্পাসে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শিবলী সাদিক ও ইবতেশাম চৌধুরী নামের এই দুই শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। তাদের দাবি—ইউল্যাবের উপাচার্য ইমরান রহমান এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে।
অনশনকারীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ইউল্যাব প্রশাসনের একতরফা সিদ্ধান্ত, বৈষম্যমূলক আচরণ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার প্রতিবাদে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ আন্দোলন ঘিরে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আন্দোলনের পেছনের ঘটনা
অনশনকারীদের দাবি, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে গ্রাফিতি আঁকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। এর প্রতিবাদেই এই পাঁচ দফা দাবিতে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন যে গত দুই মাসে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেকেই প্রশাসনের এসব পদক্ষেপকে ‘স্বেচ্ছাচারী’ এবং ‘শিক্ষার্থীবিরোধী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
পাঁচ দফা দাবি
১. উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের পদত্যাগ।
২. ডিসিপ্লিনারি কমিটি এবং প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগ।
৩. শিক্ষার্থীসহ সব অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে ‘কোড অব কন্ডাক্ট’-এর যৌক্তিক সংস্কার।
৪. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সব ধরনের বিধিনিষেধ বিলোপ।
৫. শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা।
ইউল্যাব প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
ইউল্যাবের উপাচার্য ইমরান রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হলে তারা আন্দোলন আরও তীব্র করবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন এবং মধ্যস্থতার জন্য ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন। তবে এখনো কোনো সমাধান হয়নি।
ক্যাম্পাসে বর্তমান পরিস্থিতি
শিক্ষার্থীরা পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। “পাঁচ দফা দাবি মেনে নাও,” “শিক্ষার্থীদের শত্রুরা প্রশাসন থেকে বিদায় নাও”—এমন বিভিন্ন স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত।
এই প্রতিবেদনটি ইউল্যাবের চলমান আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর প্রতি আলোকপাত করে তৈরি করা হয়েছে।
Share Now