দিনাজপুর প্রতিনিধি
গ্লোবাল এনভারোনমেন্ট ফেসিলিটির অর্থায়নে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তায় এবং কীটতত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর বাস্তবায়নে উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অঞ্চলের কনফারেন্স রুমে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বালাইনাশক ব্যবহারের বর্তমান পরিসংখ্যান, বালাইনাশকের বিভিন্ন মৌলিক বিষয়াদি, বাংলাদেশে অধিক বিপদজনক বালাইনাশকের সংখ্যা, মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব, অধিক বিপদজনক বালাইনাশকের বিকল্প এবং মাঠ পর্যায়ে এই সকল বিপদজনক বালাইনাশকের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কিভাবে সক্ষমতা উন্নয়ন করা যায় সেই সম্পর্কে দিনাজপুর অঞ্চলের মোট ১০০ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কর্মকর্তারা তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা এবং বালাই দমনের বিভিন্ন সমস্যাদি তুলে ধরেন। তারা বলেন বাংলাদেশে কতগুলি অধিক বিপদজনক বালাইনাশক রয়েছে সে বিষয়ে এতদিন পর্যন্ত তাদের কোন ধারণা ছিল না কিন্তু এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। বিশেষ করে অধিক বিপদজনক বালাইনাশকের সংখ্যা, মাঠ পর্যায়ে তাদের ব্যবহার, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে গভীর জ্ঞান লাভ করেন। এছাড়াও একাধিক বালাইনাশকের মিশ্রণ বা ককটেল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলি, কার্যকর বালাই দমনে স্প্রে ড্রপলেটের ভূমিকা, উত্তম কৃষি পরিচর্যা ইত্যাদি সম্পর্কে ও শিখেন। প্রশিক্ষনার্থীরা বলেন, বালাইনাশকের উপর এই ধরণের প্রশিক্ষণ তারা এর আগে কখনো পাননি, তাই একদিনের পরবর্তী আরো বেশি সময় নিয়ে এই প্রশিক্ষণ প্রদানের দাবি জানান। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন দিনাজপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. রিয়াজ উদ্দিন। প্রশিক্ষক হিসাবে প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রজেক্টের টিম লিডার প্রফেসর ড. গোপাল দাস, কীটতত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,। অধ্যাপক ড. মো. রমিজ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো মাহবুবুর রহমান, দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. জাফর ইকবাল, মো. আবু জাফর মো. সাদেক, মো. আলমগীর কবির প্রশিক্ষন প্রদান করেন।