তারেক রহমান নতুন বছরে দেশের রূপান্তরের একটি পর্বে উপনীত হতে পারব বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীসহ প্রবাসীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি একটি বিবৃতিতে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নতুন বছরের আশাবাদ এবং রূপান্তরের লক্ষ্যে আহ্বান
নতুন বছরের আগমনে দেশবাসী ও প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে তারেক রহমানের কাছ থেকে। তিনি বলেন, “নতুন বছরে আমরা দেশের সামগ্রিক রূপান্তরের একটি পর্বে উপনীত হতে পারব বলে আশা রাখি। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আসুন আমরা রাষ্ট্র ও সমাজে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একযোগে কাজ করি। অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। চিরদিনের জন্য দূর হয়ে যাক সব অন্যায়-উৎপীড়ন, নির্যাতন। আমরা এমন একটি জাতি নির্মাণের প্রত্যাশা করছি, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রত্যেকের কণ্ঠ স্বাধীন থাকবে।”
ঘটনাবহুল ২০২৪ সালের প্রতিফলন
ঘটনাবহুল ২০২৪ সালের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “গেল বছরটি এখন আমাদের মনে জাগরুক (সতর্ক) হয়ে থাকবে। গত বৎসরের বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা, ছাত্র-জনতার আত্মদান ও অধিকার হারানোর যন্ত্রণা আগামী বৎসরে আমাদের একদিকে যেমন বেদনার্ত করবে, অন্যদিকে নতুন উদ্যমে শান্তি, সম্প্রীতি ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনায় আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।” তিনি যোগ করেন, “গণবিরোধী পরাজিত শক্তি এত দিন জনগণের সব অধিকারকে বন্দী করে রেখেছিল। এমতাবস্থায় সব গণতান্ত্রিক শক্তির মিলিত প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করতে হবে।”
বিএনপির নেতৃত্বে রূপান্তরের পথ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, দলটি আগামী বছরে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক রূপান্তরের জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। তিনি বলেন, “আমরা দেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পারি যদি আমরা সবাই মিলে একত্রে কাজ করি। আমাদের লক্ষ্য একটি উন্নত, ন্যায়সঙ্গত এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা।”
বিএনপির মহাসচিবের শুভেচ্ছা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও পৃথকভাবে দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন উদ্যম এবং নতুন সাফল্যের সূচনা হোক। সকলেই মিলেমিশে দেশের উন্নয়নে কাজ করুক।”
নতুন বছরের রূপান্তর পরিকল্পনা
বিএনপি নতুন বছরে বিভিন্ন রূপান্তর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছে। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার আনা। তারেক রহমান বলেন, “আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে সকল স্তরের জনগণকে সমর্থন এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংলাপ রেখে তাদের চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করবো।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্য
বিএনপি আগামী বছর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং উদ্যোগ হাতে নিতে প্রস্তুত। এতে রয়েছে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, কিশোর-কিশোরীদের জন্য মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সেবা, এবং নারী ও শিশুদের অধিকারের রক্ষার উদ্যোগ। তারেক রহমান আরও বলেন, “আমরা নিশ্চিত যে, সঠিক নেতৃত্ব এবং জনগণের সহায়তায় আমরা দেশের সকল সমস্যা সমাধান করতে পারবো এবং একটি সুখী, সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে পারবো।”
উপসংহার
নতুন বছরে দেশের রূপান্তরের একটি পর্বে উপনীত হতে পারব: তারেক রহমান এর এই উজ্জ্বল আশা এবং দৃঢ় সংকল্প বাংলাদেশি জনগণের মধ্যে নতুন উদ্যম এবং একতা নিয়ে আসবে। বিএনপির নেতৃত্বে দেশের ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধিশালী হওয়ার প্রতিশ্রুতি এই নতুন বছরের প্রতীক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।