ePaper

ছোট ছোট কম্পন চলছেই, মান্দালয়ে রাত কাটলো খোলা আকাশের নীচে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠার পর প্রথম রাত পার করেছে মিয়ানমার। সেখানে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। দেশটির বৃহত্তম দুই শহর মান্দালয় এবং ইয়াঙ্গুনে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। ফলে যোগাযোগও ব্যাহত হচ্ছে।  

ভূমিকম্পের উৎপত্তি যেখানে ছিল সেই মান্দালয়ের একজন বাসিন্দা বলেন, বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা ফোন চার্জ করতে পারছি না। দূরবর্তী পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা কঠিন। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছি না। এদিকে জীবিতদের সন্ধানে সারা রাত ধরে কাজ করা উদ্ধারকারীদের জন্যও বিদ্যুতের অভাব  সমস্যা তৈরি করে।  এদিকে শুক্রবার রাতভর বেশ কিছু ছোট ছোট ভূমিকম্পে কেঁপেছে মান্দালয়। মান্দালয়ে বহু মানুষ রাত কাটিয়েছে খোলা আকাশের নিচে।  ভূমিকম্পের ঘটনায় মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯৪ জনে, আহত ১ হাজার ৬৭০ জন। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে এএফপি। 

গতকাল দুপুরে মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর সাগাইংয়ে ভূপৃষ্ঠের ১৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূকম্পটির এপিসেন্টার বা উৎপত্তিস্থল। মার্কিন ভূতাত্তিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ৭.৭ এবং ৬.৪ মাত্রার দু’টি ভূমিকম্প আঘাত হানে।  

ব্যাপক এই ভূমিকম্পের কম্পন মিয়ানমারের প্রতিবেশী দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছে। এই ৬ দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে থাইল্যান্ডের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়ায় এখনও নিখোঁজ আছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া দেশটিতে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনের দেহ। এরা সবাই ভূমিকম্পে ভবন ধসে মারা গেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *