গাইবান্ধা প্রতিনিধি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রি কলেজটি অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজটি প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পর থেকে সভাপতি ও অধ্যক্ষের দায়িত্ব যারাই পেয়েছেন, তারা অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত হয়েছে। বিধি উপেক্ষা করে উপাধ্যক্ষ পদে এহেতেশামুুল হক ডাকুয়াকে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী ভোটের মাধ্যমে গভর্নিং বডিতে তিনজন অভিভাবক সদস্য ও তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার কথা। কিন্তু কোনো বেধ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিটির অনুমোদন নেয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য জানা গেছে। অভিযোগে জানা যায়, ইতোমধ্যে সমাজ বিজ্ঞানের মো. রুহুল আজম মামুন ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহিম নামে দুইজন প্রভাষক (তৃতীয় শিক্ষক) এমপিওভূক্ত হয়েছে। এই দুই শিক্ষককে ছাত্রছাত্রী ও কলেজ সংশ্লিষ্ট কেউ চেনেন না। কিন্তু তারা নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। এনটিআরসি’র মাধ্যমে নিয়োগের বিধান থাকলেও কিভাবে তারা এমপিওভূক্ত হয়েছে তা নিয়ে সুধীমহলে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ছয়মাস পূর্বেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় ওই দুই শিক্ষকের স্বাক্ষর করতে দেখা যায়নি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক সহকারী অধ্যাপক পদে ‘তিনবছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা’ থাকলে তিনি উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করতে পারবেন। তবে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেয়ার সময় সহকারী অধ্যাপকের পদ থেকে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ আইনের তোয়াক্কা না করে গোপনে নিজস্ব প্রার্থী দিয়ে আবেদন করে গত ৪ জুলাই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির যোগসাজসে কলেজ প্রাঙ্গণে নিয়োগ পরীক্ষা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এহেতেশামুুল হক ডাকুয়া গভর্নিং বডির সভাপতির আপন জ্যাঠাতো ভাই হওয়ায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম মুকুল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দাবি জানিয়ে অভিযোগ করেছেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আজাহারুল ইসলাম জানান, কলেজের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি সভাপতির নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। গভর্নিং বডির সভাপতি আসাদু-দৌলা ডাকুয়া জানান, আমি এত কিছু বুঝি না, সদস্য সচিব-অধ্যক্ষ ভালো বোঝেন, ওনার কাছ থেকে বিষয়গুলো জেনে নেবেন। এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Related News
গোবিন্দগঞ্জে জমিজমা নিয়ে বিরোধে জোরপূর্বক গাছ পালা কর্তন
- Nabochatona Desk
- June 26, 2025
- 0
শ্যামল রায়, (গাইবান্ধা) গোবিন্দগঞ্জ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাখাহার ইউনিয়নের শিহিগাঁও গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে, আব্দুল কদ্দুস মন্ডল ভোগ দখলকৃত […]
গাইবান্ধায় আইন শৃঙ্খলা মিটিং শেষে ৬ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আটক
- Nabochatona Desk
- May 22, 2025
- 0
গাইবান্ধা প্রতিনিধি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিং শেষে ৬ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আটক করেছে থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ এর সম্মেলন […]
গাইবান্ধায় রাতের আধারে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে মন্দির পুড়ে ছাই
- Nabochatona Desk
- September 3, 2025
- 0
হাবিবুর রহমান, গাইবান্ধা গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে তৈরী করা প্রতিমায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশসহ প্রতিমার বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়ে ছাই […]
