গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত বাংলাদেশের ওপর ব্যাপক খবরদারি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ভারতের অনুমতি ছাড়া দেশে কোনো বড় পদে নিয়োগ বা সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি বিচারপতি, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী নিয়োগেও ভারতের হস্তক্ষেপ ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর এ কথা বলেন। তিনি ভারতকে এ ধরনের খবরদারি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবে কে কোথায় দায়িত্ব পালন করবে। আমরা বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু প্রভুত্ব চাই না।”
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির সাম্প্রতিক ঢাকা সফর নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে গয়েশ্বর বলেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দেশের জনগণের চেতনাবোধ ও আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। সম্পর্কটা দেশ-দেশের মধ্যে হতে হবে, কোনো ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে নয়।”
তিনি আরও বলেন, ভারত যদি সমমর্যাদার ভিত্তিতে পারস্পরিক স্বার্থকে সমুন্নত রেখে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে, তাহলে উভয় দেশের জন্য সেটি কল্যাণকর হবে।
এর আগে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সুইডেনপ্রবাসী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন জিন্টুকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। উল্লেখ্য, দুই ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় মহিউদ্দিন ১৯৮২ সালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হন। ২০০৫ সালে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ তাঁর সাজা মওকুফ করেন।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
Share Now