ঈদ যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে কোরবানির পশুর বাজার! !

মো.আফজল হোসেইন(শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি)

আর কদিন পরেই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ উৎসব ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ইবাদত, যেখানে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করে থাকেন। ঈদ যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে কোরবানির পশুর বাজার। প্রতি বছরের মতো এবারও গরু ব্যাপারীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। শ্রীমঙ্গলের গরু বাজারগুলোতে ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি গরু প্রদর্শন করা হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের গরু বাজারে দেখা যাচ্ছে। তবে এবার ভারতীয় গরুর দেখা না মিললেও খামারিদের উৎপাদিত বিশাল আকারের গরুগুলো ক্রেতাদের বিশেষ আকর্ষণ কাড়ছে বলে ব্যাপারীরা জানিয়েছেন। আরও কদিন পর শ্রীমঙ্গলের গরু বাজারে কোরবানির পশুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, ভারতীয় গরুর অনুপস্থিতির কারণে কৃষকদের পালিত ও খামারিদের উৎপাদিত পশুর ওপর চাপ পড়বে। ফলে কোরবানির গরুর দাম গতবারের চেয়ে এবার বৃদ্ধি পেতে পারে বলে অনেক ক্রেতা আশঙ্কা করছেন। গরু ব্যাপারীরা কোরবানি উপযোগী ছোট আকারের গরুর সর্বনিম্ন মূল্য ৪০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাইছেন। তবে ব্যাপারীরা জানিয়েছেন, বাজারে পশুর সংখ্যা কেমন থাকবে তার ওপর দামের ওঠানামা নির্ভর করবে। তবে শ্রীমঙ্গলের সরকারি পশু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাম বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা দেখছেন না। তাদের দাবি, চাহিদার সমপরিমাণ কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে। শ্রীমঙ্গলের পশু কর্মকর্তা ডা. সম্পদ সিংহ জানিয়েছেন, শ্রীমঙ্গলে কোরবানি দেওয়ার মতো পশুর প্রাপ্যতা রয়েছে ১১ হাজার ৫৪২টি। এর মধ্যে ষাঁড় গরু ৬ হাজার ৭২১টি, বলদ ৬৮৩টি, গাই গরু ৯৩৫টি, মহিষ ৭টি, ছাগল ২ হাজার ৭০৮টি এবং ভেড়া ৩৭৫টি। তিনি আরও বলেন, চাহিদার চেয়ে ২৩০টি কোরবানির পশু অতিরিক্ত মজুদ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *