ePaper

সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের রায় স্থগিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন তা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

আদালতে সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও মুনতাসির আহমেদ। ১৫৪ রিটকারীর পক্ষে ছিলেন সাবেক বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালত মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন।

পরে এই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আজ আপিল বিভাগ তাদের আবেদন মঞ্জুর করে স্থগিতাদেশ দিলেন।

উল্লেখ্য প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় গত বছরের ২৮ মে মৌখিক পরীক্ষাসহ এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। ফলে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন।

পরে এই ফলাফল বাতিল চেয়ে রিট করেন বঞ্চিত ১৫৪ জন প্রার্থী। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৯ নভেম্বর এই ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন।

আলোচিত এই নিয়োগের জন্য অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ অনুসন্ধান করতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *