টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার যাদপুর ইউনিয়নে অবাদে কৃষি জমির মাটি কাটছে একটি চক্র। ওই চক্রের মুল হোতা বেড়বাড়ি এলাকার মাসুম নামের এক মাটি ব্যবসায়ী। মাটি ব্যবসায়ী ওই মাসুমের বড় সাবেক চেয়ারম্যান হওয়ায় তার প্রভাবে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও মারপিটের ভয় দেখায়। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের বেড়বাড়ী পাহাড়ী লাল মাটি ও টুকলিপাড়া গ্রামের ৪ টি পয়েন্টে কৃষি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে দিনেদুপুরে অবাদে মাটি কেটে বিক্রি করছে ওই মাটি ব্যবসায়ী। মাটি নেওয়ার কাজে ব্যবহার করছে দানব ট্রাক্টর। গ্রামীন সড়কে ট্রাক্টর ব্যবহার করায় একদিকে যেমন গ্রামীন সড়ক নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে সাধারণ মানুষ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে, ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানায়, সখীপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নে মাসুম একজন চিহিৃত মাটি ব্যবসায়ী। তার রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট, তার প্রভাবে বেড়বাড়ী এলাকার বনভুমিতে লাল মাটি কেটে রাতের আধারে বিক্রি হচ্ছে। তিনি কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে দীর্ঘ এক যুগ ধরে। তার মাটি কাটায় সহযোগীতা করে আসছে স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ভুমি অফিসের কয়েক ব্যক্তি। এজন্য তিনি বেপরোয়া। তারা জানায় বেড়বাড়ী গ্রামের বনভুমিতে তার ভাই ও মাসুম মিলে লাল মাটি কেটে বিক্রি করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে আতাত ও স্থানীয় প্রভাব থাকায় এব্যবসা তিনি করে যাচ্ছে। কেউ তার এহেন কর্মে বাধা দিতে পারেনা। প্রতিবাদ করলে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটায়। স্থানীয়রা আরও জানায় প্রথমে নিরীহ কৃষককে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কৃষি জমির মাটি কিনে। সেখানে ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর করে মাটি কাটে। সামান্য বৃষ্টি এলে পাশের জমি ভেঙে পড়ে। পরে কমদামে সেই খেতের মাটি কিনে বিক্রি করে ওই মাসুম। ভুক্তভোগীরা ওই মাটি ব্যবসায়ীর বিচার দাবি করেন। শিক্ষার্থীরা জানায় দিনের বেলায় সড়ক দিয়ে মাটি ভর্তি দানব ট্রক্টর চলাচল করায় স্কুল কলেজে যেতে নানা সমস্যা ও দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাদের। কেউ যেন দেখার নেই। মাঝে মধ্যে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও পর মুহুর্ত থেকেই ফের চালু হয় মাটি নেওয়া ট্রাক্টর। মাটি ব্যবসায়ী মাসুম বলেন, সে এক সময় মাটির ব্যবসা করতো। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে এবার তেমন কাটছে না। তবে কিছু মানুষের অনুরোধে তাদের বাড়ি বান্ধার কাজের জন্য মাটি বিক্রি করছি। এবিষয়ে সখীপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল রনী মুঠোফোনে জানায়, সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।