ePaper

সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সভা: সুপারিশ সমন্বয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা

জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংস্কার কমিশনের প্রধানদের বৈঠকের মুহূর্ত।
সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সভায় সুপারিশ সমন্বয়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি কমিশনের সুপারিশ সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে। আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিশনগুলোর সুপারিশগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয় এবং সরকারকে শিগগিরই এই সুপারিশ অবহিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি

সংবিধান সংস্কার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে যেসব কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে, সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় প্রতিবেদনের বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয় এবং সুপারিশগুলোর বাস্তবায়নযোগ্য দিকগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

সভায় মূলত নিচের বিষয়গুলো আলোচনায় আসে:

  • বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশের মধ্যে সমন্বয়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা।
  • সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে সংস্কার কার্যক্রমের প্রভাব বিশ্লেষণ।
  • কমিশনগুলোর প্রতিবেদনগুলো বিন্যস্ত করে দ্রুত সরকারের কাছে উপস্থাপনের রূপরেখা নির্ধারণ।

উপস্থিত কমিশন প্রধানরা

সভায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রধানগণ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন:

  • সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
  • নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
  • পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন।
  • দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
  • বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধানের পক্ষে বিচারপতি এমদাদুল হক।

সংস্কার কমিশনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

সভার আলোচনায় উঠে আসে, সংস্কার প্রস্তাবগুলোর সার্বিক দিক বিশ্লেষণ করে শিগগিরই সরকারকে অবহিত করা হবে। কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আইনি কাঠামো, প্রশাসনিক পরিবর্তন এবং নীতি সংশোধনের বিষয়গুলোও পর্যালোচনা করা হবে।

সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশগুলোর মূল লক্ষ্য হলো:

  • নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা।
  • পুলিশ বিভাগে সংস্কার এনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি করা।
  • দুর্নীতি দমন নীতিমালা শক্তিশালী করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
  • বিচার বিভাগ সংস্কার করে বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা বাড়ানো।

সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ

সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সভা থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো শিগগিরই সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে। সরকার এই সুপারিশের ভিত্তিতে আইনি ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের উদ্যোগ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সার্বিক মূল্যায়ন

এই সভার মাধ্যমে সংস্কার কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি আরও স্পষ্ট হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব কমিশন একযোগে কাজ করে দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *