আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা
মাঘ মাসের শেষ পর্যায়ে এসে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের করলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার জনপদ। গত কয়েকদিন ধরে শীত অনেকটাই কমে গিয়েছিল। পৌষের একেবারে শেষ পর্যায়ে গত দুদিন তীব্র শীতে বিপর্যস্ত মানুষের জীবন। সাথে হিমেল বাতাসে যেন শরীর কাঁপুনি ধরিয়ে দিচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন জেলার ছিন্নমূল ও শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া দিনমজুররা। গত দুদিন রাস্তাঘাটেও লোকজনের আনাগোনা সীমিত হয়ে পড়েছে। জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই যবুথবু হয়ে কর্মে বের হয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ। আজ থেকে জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। যা ২-৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে জেলার আবহাওয়া অফিস। দিনমজুররা বলেন, একদিন কাজে না আসলে সংসার চলবেনা। তাই ঠান্ডার মধ্যেই কাজ করতে এসেছি। আজ অতিরিক্ত ঠান্ডা। হাত-পা ঠান্ডায় অবশ হয়ে আসছে। পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজ করতে বের হয়েছি। শহরের হকপাড়ার বাসিন্দা রিকসাচালক জালাল উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন ঠান্ডা কম পড়ছিল। হঠাৎ দুদিন রাত থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। হাত-পা কাঁপুনি ধরে গেছে। দিনে রোদের তাপে শীত অনুভূত না হলেও বিকেল থেকে তীব্রতা বাড়ছে শীতের। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিচ্ছিন্নভাবে দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। আজ রোববার থেকে কিছুদিন তাপমাত্রা বাড়বে। এরপর আবারো তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।