শেখ ইলিয়াস মিথুন, মাগুরা :
মাগুরায় আলোচিত আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টায় জড়িতদের ফাসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ও ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় মাগুরা জেলা আইনজীবি ভবনের সামনে আইনজীবি সমিতির আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট. শাহেদ হাসান টগর, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্রনালের পিপি এ্যাডভোকেট. মনিরুল ইসলাম মুকুল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট. রোকুনুজ্জামান খান প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন নিরাপত্তার কারনে গতকাল আদালত চলাকালীন সময়ে রিমান্ড শুনানী সম্ভব হয়নি। তাই মধ্যরাতে রিমান্ড শুনানী হয়। এসময় প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখের সাত দিন এবং অভিযুক্ত সহযোগী তিন জন, সজিব শেখ, রাতুল শেখ, হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগমকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বক্তারা আরো বলেন আমরা আশা করছি এ মামলায় দ্রত সময়ের মধ্যে আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তার জন্য যা করা দরকার আইনজীবি সমিতির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। একই সাথে মাগুরা জেলার সকল আইনজীবি এই ধর্ষকদের পক্ষে আইনী লড়াই থেকে বিড়ত থাকবে বলে জানান বক্তারা।
অন্যদিকে ধর্ষণের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষাথীরা মাগুরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। এ সময় সড়ক অবরোধ করে ধর্ষনের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান
দেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা আদালত থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ করার কথা জানানো হয়। কিন্তু এই ধর্ষকদের জেলে বসিয়ে এত লম্বা সময় সরকারি ব্যবস্থাপনায় না রেখে ১৮০ দিনের পরিবর্তে দ্রততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানায়। এর পাশাপাশি আর কোন শিশুকে যেন এমন ঘটনার সম্মূখিন হতে না হয় তার জন্য সরকারকে অনতিবিলম্বে আইন সংশোধন করার আহবান জানান। তা না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে কলেজের সামনে মানববন্ধন করে।