ePaper

মধুখালীতে পৈত্রিক জমিতে ঘর তুলতে বাধা

মধুখালী প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের মছলন্দপুর গ্রামের সলেমান শেখ ও সাজেদুল ইসলাম দুলু তাদের পৈত্রিক জমিতে ঘর তুলতে বাধা দেয় প্রতিবেশী রেন্টু মোল্যা। রেন্টু মোল্যা একই উপজেলার মছলন্দপুর গ্রামের আবুল কাশেম মোল্যার ছেলে। সংবাদ শুনে সোমবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় সলেমান শেখ ও সাজেদুল ইসলাম দুলু শেখ তাদের পৈত্রিক জমিতে একটি নতুন ভবন তুলতে গেলে জমির মালিকানা দাবি করে তার প্রতিবেশী রেন্টু মোল্যা বাধা দেন। এরপর তারা ঘর তোলার কাজ অব্যাহত রাখলে আবুল কাশেম মোল্যার ছেলে রেন্টু মোল্যা ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত ঘর নির্মাণের স্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে নির্মাণ কাজ বন্ধের আদেশ দেন। এ ব্যাপারে বিবাদী সাজেদুল ইসলাম দুলু বলেন আমার পৈত্রিক জমিতে ঘর তুলেছি। ত্রিশ বছর আগে এই ৬৪শতাংশ আবুল কাশেম মোল্যার সাথে এওয়াজ বদল হয়। যদি তাদের জমি তারা কোর্টের মাধ্যমে পায় তাহলে আমি আমাদের বিল্ডিং ভেঙ্গে দেবো এবং জমি ছেড়ে দিবো। তাছাড়া জমির মালিক আবুল কাশেম মোল্যা জমির পরিমান ৬৪শতাংশ সেটা আমাদের পাশের জমি। তিনি আরও বলেন আবুল কাশেম মোল্যার জমি আমাদের বাড়ীর সাথে হওয়ায় ৬৪শতাংশ জমির বদলে আমরা এয়াজ বদল ভোগ করি। তার এই ৬৪শতাংম জমির বদলে বিগত ৩০বছর আগে আমরা আবুল কাশেম মোল্যার ৫০ শতাংশ জমি রেজিষ্টারী ও রেজিষ্ঠারী ছাড়া ৭৮ শতাংশ মোট ১২৮ শতাংশ জমি দিয়েছি। এ বিষয়ে বাদী আবুল কাশেম মোল্যা বলেন তাদের বাড়ীর সাথে আমার এই ৬৪শতাংশ জমির বদলে মাঠ থেকে ১২৮ শতাংশ জমি দেওয়ার কথা এর মধ্যে ৩১ শতাংশ জমি রেজিষ্ঠারী করে দিয়েছে আর বাকী জমি রেজিষ্টারী ছাড়া দিয়েছে তাও আবার বাংলাদেশ সরকারের খাস জমি। যার কারনে আমার ৬৪শতাংশ জমির মাটি কেটেছে এবং আমার জমির মধ্যে ঘর তুলেছে যার জন্য আমি বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে আমার জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছি যাতে বিবাদীগন ঘর তুলতে না পারে। এ প্রসঙ্গে সলেমান শেখ ও সাজেদুল ইসলাম দুলু শেখ বলেন আমাদের পরিবারের লোকসংখ্যা বেশী তাছাড়া তার এই ৬৪শতাংশ জমির জন্য যে জমি দেওয়ার কথা আমরা যা দিয়েছি আর বাকী জমি দিয়া দিবো সে যেভাবে নেয় সেইভাবে দিবো তিনিও তার ৬৪শতাংশ জমি এওয়াজ বন্টন করে দিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *