শেখ সোহরাব,যশোর
প্রথমবারের মত সামাজিক বন বিভাগ, যশোর এর উদ্যোগে “বিশ্ব মেছো বিড়াল দিবস” উদযাপন হয়েছে। শনিবার সকালে যশোর ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা গ্রামের ফুলের রাজধানী গদখালীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়। কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সামাজিক বন অঞ্চল যশোরের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোর সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা অমিতা মন্ডলসহ অন্যান কর্মকর্তাবৃন্দ। এবার দেশে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয়েছে “বিশ্ব মেছো বিড়াল দিবস।” পৃথিবীর সবচেয়ে স্থলচর মৎস্যভোজী এই প্রাণীদের সংরক্ষণ ও অস্তিত্ব রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে র্যালি বের করা হয়। এর আগে অতিথিবৃন্দের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফুলের রাজ্য গদখালীতে সহস্রাধিক পর্যটক ও বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী ভলেন্টিয়ারদের উপস্থিতিতে দিবসটি উদযাপন করা হয়। দিবসটি পালনে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। “জনগণ যদি হয় সচেতন, মেছো বিড়াল হবে সংরক্ষণ।” যশোর বন বিভাগের ৫টি জেলা সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, যশোর ও মাগুরা থেকে আগত সহস্রাধিক পর্যটকদের উপস্থিতে এক বিশাল মিলনমেলা সৃষ্টি হয়। প্রধান অতিথি এ এস এম জহির উদ্দিন আকন্দ বলেন, মেছো বিড়াল, গন্ধগকুল, বক, কচ্ছপ ও সাপসহ এ জাতীয় প্রাণী পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করে। আমাদের সমাজের ক্ষতিকারক কিটপতঙ্গ, পোকামাকরসহ নানা ক্ষতিকারক প্রাণীদের খেয়ে জীবন ধারণ করে এবং পরিবেশ রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই সকল উপকারী প্রাণীদের আমাদের রক্ষা করতে হবে। এ প্রসংগে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব অমিতা মন্ডল বলেন যে, “মেছো বিড়াল বা ফিসিং ক্যাট জলাভূমির একটি অন্যতম আকর্ষণীয় এবং বিপন্ন প্রাণী। গ্রামীণ বন ও জলাভূমিতে খাদ্য শৃঙ্খলের ওপরের দিকে এদের অবস্থান। এরা মরা ও রোগক্রান্ত মাছ খেয়ে জলাভূমিতে মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া ইঁদুর দমন করে কৃষি জমির ফসল উৎপাদনেও ভূমিকা রাখে। জলাভূমি ধ্বংস ও ঝোপঝাড় কেটে সাফ করে এদের আবাসস্থল নষ্ট করে প্রাণীটি খাদ্য সংগ্রহ ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য ও জলাভূমির খাদ্য শৃঙ্গল রক্ষায় প্রাণীটিকে রক্ষা আমাদের একান্ত প্রয়োজন।”