ePaper

তিন দফতরে চাপের মাঝেও সেবা দিচ্ছেন ইউএনও

মো. তাসলিম উদ্দিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সরাইল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল একাই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন। ৩৬তম বিসিএস প্রশাসনের এ কর্মকর্তা ইউএনও কার্যালয়ের পাশাপাশি সরাইল উপজেলা পরিষদের প্রশাসক, এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। গেল বছর সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন মো. মোশারফ হোসাইন। যোগদানের পর থেকেই দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। শুধু দাফতরিক কাজ নয়, উপজেলার অনেক মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বও তিনি সফলভাবে পালন করছেন। উপজেলার এক প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। দিয়েছেন তাকে চলার মত একটি দোকান ব্যবসা। পেয়েছেন এলাকাবাসীর প্রশংসা। সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে এই বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউএনও অফিস ও উপজেলা পরিষদ একই ভবনে অবস্থিত হওয়ায় তিনি সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা ভূমি অফিসে বসেন, যাতে জনগণ সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় সেবা পেতে পারেন। দিনব্যাপী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের পাশাপাশি সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। সবচেয়ে বেশি যে বিষয়ে আলোচনায় আসছেন। সরাইল উপজেলার দাঙ্গা নিরসনে ও উপস্থিত সমাধান দিতে রয়েছে ওনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যার কথা বলছিলাম, তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা যেভাবে বলেন, সরাইল উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালসভাবে কাজ করছেন তিনি। ইউএনও’র কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সৎ জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন। তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তাছাড়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা, সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সর্বদা ছুটে বেড়ান উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে। ক্লান্তিবোধ হয়তো তাড়া করেনা তাকে। ইভটিজার, পারিবারিক জটিলতায় কিংবা বাল্য বিবাহে ছাড় নেই তার। উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্যবর্ধন, আগত সেবা প্রত্যাশীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিতকরণ, উপজেলা পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে তদারকি, উপজেলায় চারপাশে চলার পথ ও দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন কাজও করেছেন তিনি। শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করেন। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের গুণগত এবং লেখাপড়ার জন্য মানসম্মত বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার নানা কার্যক্রম করেছেন ইতোমধ্যে। কখনো কলেজ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়ে ইউএনওর ঝটিকা অভিযানের ফলে নিয়ম মাফিক চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম। যা ইতিপূর্বে সরাইল উপজেলাবাসী খুব কমই দেখেছেন। তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের ‘আইডল’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ইতোমধ্যেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *