আমিনুল হক শাহীন, চট্টগ্রাম
তাজা ফল আমদানিতে বর্ধিত ভ্যাট এবং অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করা না হলে বন্দর দিয়ে আমদানি করা ফল খালাস না করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রামের ফল ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর রেলওয়ে মেনস ক্লাবের ফলমণ্ডির সামনে এক মানববন্ধনে ফল ব্যবসায়ীরা এই হুমকি দেন। বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধনে তাজা ফল আমদানিতে বর্ধিত ভ্যাট এবং অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার না হলে ২ ফেব্রুয়ারি এনবিআর ভবনের সামনে অবস্থান এবং ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের সব সমুদ্র, নৌ এবং স্থলবন্দর দিয়ে একযোগে আমদানিকৃত তাজা ফল খালাস বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়। মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ ফল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এখন আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে তাজা ফলের ওপর শুল্ক দিতে বাধ্য করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের, যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। আবার দাম বাড়ার ফলে আমদানি করা ফলের বিক্রিও অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে ফল আমদানি কমে গেছে। এতে দেশীয় বাজারে বেড়েছে ফলের দাম। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ ভোক্তারা। এখন তাজা ফল আমদানিতে বর্ধিত ভ্যাট এবং অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করা না হলে বন্দর দিয়ে আমদানি করা কোনো ফল খালাস নেবেন না ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ তৌহিদুল আলম, বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন, মুহাম্মদ আলমগীর, আমদানিকারক আবুল কালাম আজাদ, নাজমুল হাসান মাহমুদ শিমুল, আবু বক্কর প্রমুখ। মানববন্ধনে অংশ নেন চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আলী আব্বাস খান, সহসাধারণ সম্পাদক রাশেদ কামাল মুন্না, ধর্ম ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবু বক্কর, দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক আয়াজ মিয়া, প্রচার সম্পাদক জুনাইদুল হক, প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল লতিফ, সদস্য আবদুর রহিম, ওমর ফারুক, সমিতির সাবেক সভাপতি হাজি মালেক চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, আলমগীর, সাবেক অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ হানিফ, মো. শহিদুল্লাহ, সাবেক ধর্ম সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।