ePaper

গাজায় ইসরাইলী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে ফরিদপুরে বিক্ষোভ মিছিল

লিয়াকত হোসেন, ব্যুরো চিফ, ফরিদপুর

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলী বাহিনীর অব্যাহত গনহত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ফরিদপুরের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে উক্ত কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিটি ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। এরপর প্রায় এক ঘন্টা জনতা ব্যাংকের মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এবং পুনরায় ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এসে, মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ছাত্র প্রতিনিধি নিরব ইমতিয়াজ শান্ত, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মওলানা আমজাদ হোসেন, হেফাজত ইসলামের সভাপতি মাওলানা কবির হোসেন, ইংরেজি ভাষায় বক্তব্য রাখেন ফারহান সাদিক নুর, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী দিল আফরোজ শ্রাবণী। এ সময় বিদ্রোহী সংগীত, কবিতা আবৃতি এবং ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন অবস্থানকারীরা। এ কর্মসূচিতে ফরিদপুরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ, সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন “ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনী আমাদের ফিলিস্তিনী মুসলিম ভাই বোনদের উপর বর্বরোচিত হামলা ও নারকীয় গনহত্যা চালাচ্ছে। নিরীহ মুসলিমদেরকে এভাবে নির্বিচারে হত্যা করা আধুনিক যুগে কল্পনাতীত। আমরা মুসলিম হিসেবে আমাদের মুসলিম ভাইদের উপর এরকম বর্বরোচিত হামলা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারি না। এ হামলার প্রতিবাদে জাতিসংঘ কোন কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না। এ ধরনের জাতিসংঘ আমরা মানি না, মানবো না। বক্তারা জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন। বক্তারা বলেন অবিলম্বে ইসরাইলি সকল পন্য বর্জন করা আমাদের ঈমানি দ্বায়িত্ব। বিশ্বের মানচিত্র থেকে গাজাকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিন্তু এটা সফল হতে দেয়া যাবে না, বিশ্ব মানচিত্র থেকে ইসরাইলকে মুছে দিতে হবে। যুগের পর যুগ ফিলিস্তিনের উপর ইজরাইলিদের এরকম হামলার কোন সুষ্ঠু সমাধান নেই। আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মুসলিমদের জিহাদের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বক্তারা অবিলম্বে ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরাইল আগ্রাসন বন্ধ করার দাবি জানান এবং এ ব্যাপারে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। একই সাথে জাতিসংঘকেও যুদ্ধ বন্ধের কার্যকর ভূমিকা নেবার জোর দাবি জানানো হয়। বিশ্বের প্রায় ৫০ টির উপরে মুসলিম প্রধান দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগন প্রায় নীরব দর্শক, এদের ভুমিকাও নিয়েও কঠোর সমালোচনা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *