মধুখালী প্রতিনিধি
ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উত্তর আড়পাড়া চারখালের মাথা থেকে গড়াই নদীর মুখ পর্যন্ত মরা একটি খাল খননের ফলে হাজারো কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এখন আর তাদের বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। ফলে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তারা। জানা গেছে, আড়পাড়া ও ডুমাইন এবং কামারখালী ইউনিয়ন সহ আরও কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক জমি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। পানি দেওয়ার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বোরো জমি চাষের পর ফাল্গুন-চৈত্র মাসের শেষের দিকে বৃষ্টির জন্য কৃষকদের অপেক্ষা করতে হতো। আবার বৈশাখে ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের কষ্টার্জিত ফসল বাড়িতে নিতে অনেক বেগ পেতে হতো। যার কারনে খালের পশ্চিম পাশে রাস্তাটি খাল খননের সাথে মেরামত অতি জরুরী বলে মনে করেন খালের পাড়ের বসতিরা। তাই দীর্ঘদিন ধরে তাদের এমন দুর্ভোগ দেখে এগিয়ে আসে স্থানীয় সরকার। ঠিক তেমনি রাস্তা মেরামত করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে স্থানীয় সরকারকে। তবে রবিবার সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় খাল খননের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। তাছাড়া খালের দুই পাড়ের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় খালের কাজ বরাবরই ভালো হচ্ছে। তবে খালের সাথে রাস্তা মেরামত জরুরী। তা না হলে নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে খালের পাড়ের বসতি ঘরঘুলো ভেঙ্গে যেতে পারে। আরও জানা যায় এখন আর জমিতে পানি দেওয়ার জন্য বৃষ্টির অপেক্ষা করতে হবে না। নদীর পানির বৃদ্ধির ফলে এবং খাল খননের ফলে খালে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির ব্যবস্থা থাকবে। ফলে কৃষকরা সহজেই জমিতে পানি দিতে পারবে। স্থানীয় উত্তর আড়পাড়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার মোল্যা বলেন, খাল খননের মাধ্যমে আমাদের জমিতে এখন পানি দিতে কোনো সমস্যা হবে না। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে আশা করছি বাম্পার ফলন হবে। একই গ্রামের ইউপি সদস্য সেলিম শিকদার জানান, আমরা এখন জমিতে স্যালোমেশিনের মাধ্যমে পানি দিতে পারবো। আগে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হতো। প্রকল্পটির কারণে আমাদের অনেক উপহার হবে। স্থানীয় কৃষক রজব আলী মোল্যা বলেন, খাল খনন প্রকল্পের কারণে এখন আর জমিতে পানির অভাব হবে না। কৃষক আবুল কাশেম জানান, এখন খালের পানি জমিতে ব্যবহার করতে পারবো। তবে খাল খননের পাশাপাশি খালের পশ্চিম পাশে রাস্তা মেরামত অতি জরুরী। এ বিষয়ে আড়পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান বাবু জানান, খাল খননে পানি সেচের সুবিধা বেশি পাবে যার কারণে কষকদের ফলন বৃদ্ধি পাবে এবং তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। পাশাপাশি খালের পশ্চিম পাশের রাস্তাটি মেরামত অতি জরুরী যার কারণে কম খরচে ও সহজে তারা মাঠের ফসল ঘরে তুলতে পারবে।