ePaper

খাল খননে নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা

মধুখালী  প্রতিনিধি ঃ  সেচ কাজের ও বিভিন্ন জাতের মাছ  আমদানী সুবিধার্থে ফরিদপুরের  মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের  উত্তর  আড়পাড়া চারখালের মাথা থেকে দক্ষিনে গড়াই নদীর  মুখ  পর্যন্ত প্রায়  ৩.২৫ কিমিঃ  খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কৃষকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে এর ফলে জমিতে সেচকাজ পরিচালনা সহজলভ্য হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সরকারের উদ্যোগে  ফরিদপুরের মধুখালী  উপজেলার খাল খনন করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার মাধ্যমে জানা গেছে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের চারখালের মুখ থেকে গড়াই নদীর মুখ পর্যন্ত  প্রায় ৩.২৫ কিলোমিটার খাল খননের কাজ শুরু করা হয়েছে। উত্তর আড়পাড়া  গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, এই জনগুরুত্বপূর্ণ খালের পানির ওপর এখানকার ইরি-বোরো ব্লকের প্রায় হাজার  হাজার একর জমি নির্ভরশীল। এই খাল কাটার পর থেকে খালটি কখনও পুনঃখনন করা হয়নি। ফলে খরস্রোতা খালটি দুই পাশের মাটি জমে মরে যায়। পানির অভাবে অনেক জমির বোরো চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে।  রজব আলী মোল্যা  নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, খালটির নাব্যতা সংকটের কারণে বোরো চাষের ওপর নির্ভরশীল চাষিদের পরিবারও চরম সংকটের মধ্যে দিন পার করছিলেন। তবে, খাল খনন হয়ে গেলে ও পানির প্রবাহ ঠিক থাকলে আগামীতে আবারও ক্ষেতগুলো বছরজুড়ে ফসলে ভরে থাকবে। কৃষকের মুখেও হাসি ফুটবে। কৃষক ইকরাম মন্ডল বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও বর্তমান সরকারের মহতী উদ্যোগে খালটি পুনঃখননের কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যতটুকু খাল পুনঃখনন করা হয়েছে তাতেই এখন এলাকাবাসী মরা খালে পানির যৌবন ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন। খাল খননের ফলে আড়পাড়া ও  ডুমাইন  ইউনিয়ন  এবং কোড়কদি  ইউনিয়ন সহ  আশে পাশে  আরো ইউনিয়নের  প্রায়  ২০টি গ্রামের  হাজার হাজার কৃষক উপকৃত হবেন এবং ইউনিয়নের জনগনের মাছের ঘাটতি থাকবে না  বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী  প্রকৌশলী আব্দুল আল আমিন বলেন,  খাল খনন  কাজ সবে মাত্র শুরু হয়েছে , খাল খননে আমাদের মনিটরিং আছে , এলাকার মানুষের সার্বিক সহযোগীতা আমাদের কাম্য , যাতে খাল খননটি সুন্দর হয়  সেই আশা ব্যক্ত করি এবং  দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সেচ কাজের জন্য খালগুলো খনন কাজ শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে খাল খননের কাজ মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নেও  শুরু হয়েছে। খাল খননের ফলে এই এলাকার চাষিদের ধান চাষে আর পানির সমস্যা থাকবে না। কাজের মান সরেজমিন দেখে ভালো মনে হচ্ছে। কাজ দেখার জন্য প্রতিদিনই বালিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ডের  লোকজন তদারকি করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *