মাকসুদ আলম (নোয়াখালী) সোনাইমুড়ী
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মনোহর আলীর বিরুদ্ধে ভাড়াটে ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ভুমি দখলের অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বজরা ইউপির ইসলামগঞ্জ বাজারের পশ্চিম পাশে বারাহিনগর গ্রামে। অভিযোগ ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ২৪৬নং বারাহিনগর মৌজার সিএস ৮নং ও বিএস জরিপী ৩৮০নং খতিয়ানে রেকর্ডসূত্রে ১২২৯ দাগে ১ শতাংশ ভুমির মালিক মৃত শরাফত উল্যার পুত্র মোশাররেফ হোসেন। অপর ১ শতাংশ ভুমিতে মালিক ছিলেন শহিদ উল্যা। শহিদ উল্যার মৃত্যুতে ১ পুত্র ও ২ কন্যা উক্ত ১ শতাংশ ভুমিতে ওয়ারিশসূত্রে মালিক হয়। ভুক্তভোগী মোশাররেফ হোসেন ১২২৯ দাগের ১ শতাংশ ভুমিসহ অপরাপর দাগের ভুমিতে উন্নয়ন কর্মকান্ড করে তাহার নাবালক পুত্র-কন্যা আবরার ও হুমায়রা ফায়রুজের নামে বিগত ২৩ ফেব্র“য়ারি স¤পাদিত ও ৪ঠা মার্চ’২৫ তারিখে সোনাইমুড়ীর রেজিঃ অফিসে ১২৭১ নং হেবা ঘোষণার দলিলে হস্তান্তর করেন। দলিল রেজিষ্ট্রি হওয়ার ২ দিন পর উক্ত ভুমিতে আবরার শাহরিয়ার গং নামীয় সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়। উক্ত ১২২৯ নং দাগে ১ শতাংশ ভুমির মধ্যে শহিদ উল্যার পুত্র ০.৫০ শতাংশ এবং প্রত্যেক কন্যা ০.২৫ শতাংশ হারে মালিক হয়। ১২৭১ নং দলিলের গ্রহিতা আবরার শাহরিয়ার গং এর মালিকীয় দখলীয় ১২২৯ নং দাগের ভুমির চৌহুদ্দী ও অবস্থান উল্লেখপূর্বক হিংসার বশবর্তী হয়ে ভূমি খেকো মনোহর আলী ৭ এপ্রিল’২৫ ১৬৭২ নং দলিলে শহিদ উল্যার কন্যা নুসরাত থেকে ১২৩৩ ও ১২২৯ নং দাগের ভুমি উল্লেখে আবরার শাহরিয়ার গংদের মালিকীয় দখলীয় ভুমির একই চৌহুদ্দিতে নুসরাতের মালিকীয় ০.২৫ শতাংশ ভুমি (১ শতাংশের ভৎধপ{১}{৪} অংশ) স্থলে অতিরিক্ত ভুমি দলিল করে নেয়। এ নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে নুসরাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ এপ্রিল’২৫ সোনাইমুড়ী থানায় বৈঠক করলেও মীমাংসা না হওয়ায় আবরার শাহরিয়ার গং এডিএম কোর্টে পিটিশন মামলা নং- ১৯৮/২৫ দায়ের করে। উক্ত মামলায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নোয়াখালী ২১ জুলাই’ ২৫ তারিখে ১২৭১ নং দলিলের গ্রহিতা আবরার শাহরিয়ার গং এর পক্ষে ১২২৯ নং দাগের দখল সাব্যস্তসহ প্রতিপক্ষ মনোহর আলী গংকে উক্ত ভুমিতে দখল বিঘ্নে বারিত থাকার আদেশ প্রদান করে। প্রতিপক্ষ মনোহর আলী গং আদালতের আদেশ অমান্য করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উক্ত ভুমি নিয়ে আবরার শাহরিয়ার গং বেগমগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, নোয়াখালীতে দেওয়ানী ২১০/২৫ নং মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত বিগত ১৭ জুন’২৫ ইং তারিখে নালিশী ভুমির রকম পরিবর্তন, ভরাট ও কোনরূপ স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য প্রতিপক্ষ মনোহর আলী গংদের বিরুদ্ধে স্থিতাবস্থার আদেশ জারী করেন। সোমবার গভীর রাতে মনোহর আলী আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ত্রাসী, ভাড়াটে লোকজন নিয়ে নালিশী ভুমিতে বালু ভরাট করে। ভুক্তভোগীর পরিবার ১২ অক্টোবর ‘২৫ সন্ধ্যার পর সোনাইমুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও ঘটনার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য বারবার ফোন করেও আইনী সহযোগীতা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনোহর আলী ক্ষিপ্ত হয়ে বালু ভরাটের কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, কতটুকু ভুল করেছি বা কতটুকু শুদ্ধ করেছি তা আদালত দেখবে। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ পেয়েছি। এস.আই উদয়ন বড়ুয়াকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।
