ePaper

সরাইলে ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জি শ্রমিকরা

মো.তাসলিম উদ্দিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সরাইল

ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ আর এ আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় নতুন পোশাক। তাইতো ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসে, মার্কেটের পাশাপাশি মানুষের আনাগোনা ততই বাড়তে থাকে দর্জিদের দুয়ারে। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মনের মতো পোশাক বানাতে মানুষেরা ভিড় করছেন দর্জিদের কাছে। ঈদে একটি নতুন কাপড় সব শ্রেণীর মানুষেরই চাহিদা থাকে। কেউ দর্জি ঘরে, কেউ রেডিমেড কাপড়ের জন্য মার্কেটে। দিন রাত সেলাই মেশিনের খটখট শব্দে সরাইল উপজেলা দর্জিরা ব্যস্ততার অন্ত নেই। দর্জিবাড়ির এসব কারখানায় নির্ঘুম রাত কাটছে এই পেশার সংশ্লিষ্টদের। উপজেলার সদরে উচালিয়া পাড়া মোড়ে শপার্স গ্যালারিতে ফখরে বাঙ্গাল(রহ) পাঞ্জাবি টেইলার্স বর্তমানে দিন রাত সেলাই মেশিনের খটখট শব্দের সাথে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সাধারণত রমজান শুরুর দুই সপ্তাহ আগে দর্জিদের ব্যস্ততা শুরু হয়। দর্জিরা শার্ট, প্যান্ট, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা ও স্কার্ট তৈরি করে উপজেলার বিভিন্ন দর্জি মার্কেটে। এছাড়া অগ্রিম অর্ডার নিয়ে দর্জিরা কাজ করেন বলে জানা গেছে। সরেজমিনে দর্জির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিকদের কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ সেলাই করছেন, কেউ আবার সেলাই করার কাপড়ে নানা ধরনের পুঁতি ও লেইচ সংযুক্ত করছেন। ঈদকে সামনে রেখে এখন সেলাই মেশিনের শব্দে মুখরিত দর্জি দোকানগুলো। বাহারি নকশার কাপড় বানাতে সেখানে ভিড় করছেন অনেকেই। দর্জিদের এখন দম ফেলার সময় নেই। শনিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন সড়কের টেইলার্স ঘুরে দেখা গেছে, ছোটবড় প্রতিটি দোকানেই সেলাই কাজের প্রচুর অর্ডার পাচ্ছেন দর্জিরা। প্রত্যেক কারিগর দিনে তৈরি করছেন প্রকার ভেদে ৮ থেকে ১০টি অর্ডার করা পোশাক সামনে ঈদ তাই রুজি- রোজগারের একমাত্র সম্বলটি যেন এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। নতুন করে অর্ডার এখন কেউ নিচ্ছে আবার কেউ নিচ্ছে না। চাহিদা মতো নতুন পোশাক পেয়ে যেমন ক্রেতারা খুশি, তেমনি পছন্দ মতো পোশাক বানাতে ক্রেতারা ছুটে যাচ্ছেন পছন্দের টেইলার্সগুলোতে। উপজেলার একাধিক টেইলার্স মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, পছন্দের পোশাকের জন্য রেডিমেড পাঞ্জাবি ও থানকাপড় কিনে ক্রেতারা পাড়ি জমাচ্ছেন দর্জি দোকানগুলোতে। ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে দিনরাত দোকান খোলা রেখে কাজ করছেন দর্জিরা। আবার কোন কোন টেইলার্স কাজের চাপ সামলাতে মৌসুমি কারিগর এনেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে। মো. জামিনুল ইসলাম নামের একজন দর্জি এ প্রতিনিধিকে  জানান, এই সময়ে অনেকে পাঞ্জাবি অর্ডার করছেন। তাই কাজের চাপও একটু বেশি। দর্জি ব্যবসায়ীরা সারা বছর রমজানের ঈদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এখানে সারা বছর যত কাজ হয়, তার ৯০ শতাংশ কাজ হয় ঈদকেন্দ্রিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *