শেখ জিকু আলম, খুলনা – খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার হেতালবুনিয়ার একটি ঘেরের মধ্যে হতে জবাই করে ফেলে রাখা এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ বটিয়াঘাটা থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ লাশটির পরিচয় সনাক্ত করে। নিহত ব্যক্তির নাম হাফিজুল ইসলাম (৪৫) পিতা – খাদেমুল ইসলাম গ্রাম প্লাটিনাম গেট থানা খালিশপুর, খুলনা। এ সময়ে নিহত ব্যক্তির স্বজনরা জানান, গত শুক্রবার বেলা বারোটার সময় ভাড়ায় চালিত একটি ইজিবাইক নিয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়। অনেক রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় আমরা তার ফোনে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোন খবর পাইনি। চঞ্চল্যকর এই ইজিবাইকের হত্যার বিষয়ে বটিয়াঘাটা থানার সেকেন্ড অফিসার কেরামত আলী বলেন, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক লাশটি উদ্ধার করে সনাক্তের পর তাদের আত্মীয়-স্বজনদের খবর দিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। এ সংক্রান্ত বিষয়ে বটিয়াঘাটা থানায় একটি ডায়েরি করা হয়। সাধারণ ডায়েরি নং – ৩৩৭ তারিখ – ৭/৩/২৫। এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের মূল হোতাদের ধরতে মাঠে নামে খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিম। সেই ধারাবাহিকতায় খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে খুলনা জেলা ডিবির একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বাগেরহাট জেলায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ হাসান (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে বাগেরহাট জেলা সদর থানাধীন সিএন্ডবি বাজার থেকে রোববার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময়ে হত্যার সহযোগী তার (পরকীয়া প্রেমিকা) রেশমা বেগমকে খুলনা খালিশপুর ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে হত্যার জন্য ব্যবহৃত একটি চাপাতি একটি দড়ি এবং হত্যার পরবর্তীতে ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি বাগেরহাট সদর থানাধীন কুলিয়াধার গ্রামে অবস্থিত তার মামার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল সোমবার খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গ্রেফতারকৃত আসামিকে খুলনার বাটিয়াঘাটা থানায় হস্তান্তরের পর একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ইজিবাইক চালককে জবাই করে হত্যা খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে আসামি গ্রেফতার
