আতিকুর রহমান খান দিপু, বরগুনা
আর্ন্তজাতিক নারী দিবসে বসে নেই আমতলীর কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী আয়শা আক্তার আখি। বিলুপ্ত প্রায় মাটির গহনা ও মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতে আয়শা আক্তার আখি মাটির গহনা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। গত চার বছরের নিরলস পরিশ্রম করে এখন ও মাটির গহনা তৈরি করে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনে বিক্রিতে পেয়েছেন বেশ সাড়া। মাটির গহনা বিক্রি করে সংসারের আর্থিক স্বচ্ছলতার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে পরিবারটি। আঁখি নব চেতনাকে বলেন আর্থিকভাবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কাজের পরিধি বারিয়ে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারবো। স্বামী সোলায়মান বলেন, স্ত্রীর এমন ভালো কাজে আমি সবসময় উৎসাহ সহযোগিতা করি। মাটির গহনা বিক্রির অর্থ দিয়ে আমাদের সংসারে আগের চেয়ে আর্থিক স্বচ্ছলতা বেড়েছে। আমতলী উপজেলার পঁশ্চিম চিলা গ্রামের আলমগীর গাজীর মেয়ে আয়শা আক্তার আঁখি। তার মা মরিয়ম বেগম ছোট বেলার স্মৃতি একজোড়া মাটির কানের দুল ক্রয় করেন পরবর্তীতে তা সযত্নে রেখে দেন। মায়ের মাটির গহনা দেখেই মেয়ে আখি মাটির গহনা তৈরির চেষ্টা করেন। নিজের অদম্য চেষ্টায় গহনা তৈরির পদ্ধতি শিখে নেন। আখি ২০২১ সালে আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এরপর তার বিয়ে হয়ে যায়। আয়শা বর্তমানে আমতলী সরকারী কলেজে ডিগ্রি তে অধ্যয়নরত আছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি মাটির গহনা তৈরি পরিবারের জন্য করছেন বাড়তি আয়। মাটির উপর বাহাড়ি ডিজাইনের নিখুঁত নকশা করে গহনা তৈরি করছেন। গহনার মধ্যে রয়েছে কানের দুল, গলার সেট, সহ ক্রেতার পছন্দ অনুযাই মাটির গহনা তৈরি করে। আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান বলেন, বিলুপ্ত মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখতে মাটির গহনা তৈরিতে আখি যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়, অত্যান্ত চমৎকার কারুকাজ আমরা তাকে সাধু বাদ জানাই। এ-ই শিল্প কে টিকিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে আঁখি কে সকল প্রকার সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে।