ePaper

মাদারীপুর ৬ দফা দাবিতে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান

আরিফুর রহমান, মাদারীপুর

মাদারীপুর সরকারি কলেজের পকেট গেইট বন্ধসহ ৬ দফা দাবি নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে স্মারক লিপি দিয়েছেন কলেজ শাখার ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি দেওয়ার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ বলে গতকাল শনিবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মো. লুৎফর রহমান খানের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করে কলেজ শাখার ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীরা। স্মারক লিপিতে উল্লেখিত দফা সমূহ হলো: ক্যান্টিন সংস্কার এবং পুনরায় চালুকরণ, ডিবেট ক্লাব এবং কমনরুম নিশ্চিত করা, নতুন ছাত্রাবাসের নির্মাণ কাজ দ্রুত সময় করতে হবে, ২৪ এর গন-অভ্যুত্থানে মাদারীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র শহীদ দীপ্ত এর নামে ছাত্রাবাসের নামকরণ, দারোয়ান নিয়োগ, পকেট গেট বন্ধ এবং বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধকরণ, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস তৈরি করা, সংস্কার এবং কলেজ আইডি কার্ড ব্যতীত প্রবেশ নিষিদ্ধকরণ, কলেজ আইডি কার্ড সংস্কার ও ক্যাম্পাসের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নিশ্চিত করতে হবে। এ সময়ে শিক্ষার্থীরা জানান, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে কলেজে আওয়ামী প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আকাঙ্খা, প্রত্যাশা ও মতামতের প্রাধান্য না দিয়ে কলেজের সকল ফি তিনগুণ বৃদ্ধি করেছিল। এই অতিরিক্ত ফি শিক্ষার্থীদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। তাই এই অতিরিক্ত ফি কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করা। কোনো হলে শিক্ষার্থীদের অবৈধ সিট থাকবে না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে এবং মেধা ভিত্তিতে সিট প্রদান করা। স্মারক লিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, মাদারীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের শেখ মেহেদী হাসান নিয়াজ, মেরাজুল ইসলাম জাহিদ, ইব্রাহিম খান, ইমন আহম্মেদ হৃদয়, জিহাদুর রহমান, সাব্বির, মুন্তাসির মৃধা, হাসিব বেপারী, অমিত হাসান, নাজমুল, সুমাইয়া সুমু, মিম আক্তার, মাহিনুর ইসলাম জেরিন।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাইদা হোসেন, সাব্বির খান, ইব্রাহিন হোসেন, জাবের মাতুব্বর, অন্তুকুন্ড, নূর-মোহাম্মাদ, বেলি আক্তার, তাসমিয়া নিসাত তুবা, তাসলিমা আক্তার, বৃষ্টি আক্তার, স্বর্ণা, ফারহানা খান, শিলাসহ অন্যরা। কলেজ ছাত্রদলের দেওয়া স্মারকলিপির বিষয় জানতে চাইলে মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান খান বলেন, এ বিষয় পরে কথা বলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *