গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২০নং গোবরা ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে চৌধুরী পাড়ায়, প্রভাবশালী এক ব্যাক্তি দ্বারা পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত ভূমি জবরদখল করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক পরিবার। জানাগেছে ভুক্তভোগী ও জবরদখলকারী আপন চাচি-ভাতিজা। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি গত ৩০/৭/২০১৮ইং তারিখে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, গোপালগঞ্জ সদরে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ন্যায় বিচারের আবেদন করেছিল যার নম্বর-২০৯/১৮। আদালত বাদির অভিযোগের সত্যতা পেয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও প্রভাবশালী ঐ ব্যক্তি নিষেধাজ্ঞা কৃত ভূমি এখনও জবরদখলে রেখেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের আদালতে দায়ের করা মামলা ও ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের অভিযোগ পত্রের বন্যনা থেকে জানা যায়, ২০নং গোবরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত আয়ুব আলী চৌধুরীর ছেলে কুটি চৌধুরী এলাকার লাঠিয়াল ও মাস্তান প্রকৃতির লোক হওয়ায় এলাকার অসহায় ও দুর্বল মানুষের ভিটে বাড়ী ও কৃষি জমি বিভিন্ন কৌশলে জবরদখল করে অর্থনৈতিক ফায়দা নিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত ভূমিদস্যু কুটি চৌধুরী গত ১৬/৭/২০১৮ তারিখে ১১৬নং গোবরা মৌজার এস,এ, ৩০নং খতিয়ান ও বি, আর,এস,৭৩নং খতিয়ানের সেঃমেঃ ৩২৫২নং দাগে নবায়ন বি, আর, এস,৪৫৯৭ নং দাগের ১০শতাংশ ভূমির মেধ্যে ৬.৬৬ শতাংশ তন্মধ্যে ৩.৩৩শতাংশ পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তির ওপরে বালু ফেলে দোকান ঘর তৈরি করে জবরদখল করে রেখেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রধান মামলার বাদী হাসিনা বেগম ও ছেলে জয় চৌধুরী (নিউটন) বলেন আমরা ঐ ভূমিদস্যুর কারনে গ্রাম ছাড়া হয়েছি। আমাদের জমি এখনও দখল করে রেখেছে, প্রশাসনের কাছে এর ন্যায় বিচার চাই। এসকল অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত কুটি চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, এটা আদালতের বিষয়, লেখালেখি করে কি হবে, আদালতে যে সিদ্ধান্ত হয় হবে। এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান টুটুল নবচেতনাকে বলেন ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষথেকে উভয়পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেও সমাধানে পৌঁছাতে পারিনি।