ePaper

গোবিন্দগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিধবার জমি দখলের চেষ্টা

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া এলাকায় এক বিধবার ৫৩ শতাংশ জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে।জমির মালিক ভুক্তভোগী রেজা মাহফুজা বেগম লাইজু (৫৭) বগুড়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের জলেশ্বরীতলা এলাকার মৃত ইয়াছির আলীর সহধর্মিণী এবং তার দুই ছেলে নাজমুল আহসান (৩৬) ও তানজিদ আহসান (২২)। অভিযুক্তরা হলেন – কামদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত মনছুর রহমান চৌধুরীর ছেলে মমিন চৌধুরী (৫৭), আবু নাসের চৌধুরী (৫৪), আমিরুল চৌধুরী (৬১) এবং একই এলাকার মৃত ওহেদ চৌধুরীর ছেলে কাজল চৌধুরীর (৪৫)।এ ঘটনায় সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভুক্তভোগীর ছোট ছেলে তানজিদ আহসান বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।নার অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বিগত ২০০২ সালে ইয়াছির আলীর পলাষট্রি মৌজায় জেএল নং-১২, সিএস খতিয়ান নং-৩৮, এসএ খতিয়ান নং-৪৪, সাবেক দাগ নং-২৩২, ডিপি নং-১৯৩, ৪০০ দাগে ৪৬ শতকের মধ্যে ১৪ ও ৪০১ দাগে ৩৯, একুনে দুই দাগে মোট ৫৩ শতক ক্রয়কৃত জমি ভুলক্রমে অভিযুক্তদের নামে বিআরএস রেকর্ডভুক্ত হয়। ওই রেকর্ড সংশোধনে গোবিন্দগঞ্জ (চৌকি) আদালতে মামলা নং- ৪২/২৪ চলমান। এরপরেও জমি নিয়ে স্থানীয় শালিস বৈঠকে কোনো সমস্যার সমাধান না হওয়ায় একপর্যায়ে মৃত ইয়াছির আলীর বড় ছেলে নাজমুল আহসান বাদী হয়ে গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নং- ৯২/২৪ দায়ের করলে মামলার রায়ে বাদীর পক্ষে ভোগদখলের আদেশ আসলে তারা জমি ভোগদখলে করে চাষবাস করে আসছিল। গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রমিক দিয়ে জমিতে ধান চাষের জন্য পানি সেচ দেওয়ার সময় অভিযুক্তরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জমিতে এসে লাঠি, ধারালো ছোরা ও হাসুয়া দেখিয়ে প্রাণনাশের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে মৃত ইয়াছির আলীর ছোট ছেলে তানজিদ আহসানসহ শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেয়। যেকোন সময় তারা জমি বেদখল করে ধানের চারা রোপন করবে বলে তাদের জানিয়ে দেয়। এদিকে জমি দখলের চেষ্টা ও হুমকির ঘটনায় আতঙ্কিত ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এতে করে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।লিখিত অভিযোগ জমার বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এদিকে, জমি দখল চেষ্টার ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের হাতে এসে পৌছালে অভিযুক্ত মমিন চৌধুরীকে বলতে শোনা যায় “কোর্টের বিষয়টি পরে দেখা যাবে”। কোর্টের আদেশ লঙ্ঘনের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “ওটার কোনো দাম ই নাই”। উল্টো পুলিশি কেইসে তিনি রায় পেয়েছেন বলে ভিডিওতে দাবি করেন। তবে কোন কেসে তিনি রায় পেয়েছেন সেটা স্পষ্ট করে বলেন নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *