হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, নবীনগরপ্রতিনিধি
সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের উচ্ছ্বাস জনসংযোগজমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সেনাপ্রাঙ্গনে আয়োজিত এই সমাবর্তন থেকে ২ হাজারেরও বেশি গ্র্যাজুয়েটকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি দেওয়া হয়। এছাড়া ২১ ব্যাচের মোট ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অসাধারণ একাডেমিক পারফর্ম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। প্রোগ্রামে কনভোকেশন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানের কনভোকেশন স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. এনামুল বশির, ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি মেম্বার্স, গ্র্যাজুয়েটেড শিক্ষার্থী ছাড়াও শতাধিক কর্পোরেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যক্তিবর্গ। এসময় অতিথিরা গ্র্যাজুয়েটদের হাতে বিশেষ অ্যাওয়ার্ড ও আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি হস্তান্তর করেন। মাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আজ সবার একাডেমিক যাত্রার সমাপ্তি হচ্ছে, আর এখান থেকেই শুরু হবে সুস্থ সমাজ ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সবার নতুন যাত্রা। সবাই সততা ও দায়িত্ববোধের সাথে তোমাদের জ্ঞান প্রয়োগ করবে এবং বিশ্বব্যাপি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করছি। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এনামুল বশির বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন ডেডিকেশন ও ডিটারমিনেশন সত্যিই প্রশংসনীয়। আগামীর পথচলায় সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও নৈতিক মূল্যবোধ বজায় রাখবে বলে আমি আশা করছি। সবার জন্য অসংখ্য শুভকামনা ও ভালোবাসা। ট্রাস্টি (বিওটি) বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, আজকের গ্র্যাজুয়েটদের সাফল্য তাদের প্রতিভা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বিকাশে ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনস্বরূপ। ভবিষ্যতে তারা আরও সাফল্য অর্জন করবে এবং সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম তার বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান। এছাড়া, বিওটি’র ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হক শুহান তার বক্তব্যে গ্র্যাজুয়েটদের সাফল্য কামনা করেন এবং দেশ গঠনে উৎসাহিত করেন।
বক্তব্য শেষে সবাই একত্রে মধ্যাহ্নভোজ সম্পন্ন করে। বিকেলে টপ গ্র্যাজুয়েটরা তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শেয়ার করে। পরবর্তীতে বিশেষ পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে প্রোগ্রাম শেষ হয়।