পাবনার চাটমোহর স্বাস্থ্য কম্পেøক্সে প্রসূতিসহ পেটের পীড়ায় ভর্তিকৃত রোগীরা প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রোগ নির্নয়ের জন্য আলট্রাসোনোলোজি মেশিন থাকলেও তার প্রিন্টার চুরি যাবার কারনে প্রকৃত রোগ নির্নয় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে উপজেলার দুরিদ্র ও হত দরিদ্র মানুষ পেটের বিভিন্ন জটিল পীড়া নিয়ে ও প্রসূতি রোগীদেরকে হতে হচ্ছে শহরমূখি। তবে ভার্তকৃত রোগীদের দাবী এ কম্পেøক্সে পূর্বের চেয়ে বর্তমানে অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা ছাড়াও পথ্যর মান, ওষুধ ও চিকিৎসকদের আন্তরিকতা বেড়েছে বহুগুনে। কামরুন্নাহার নামের একজন প্রসূতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পত্রিকার কয়েকজন সাংবাদিক সরজমিনে চাটমোহর স্বাস্থ্য কম্পেøক্স পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, কম্পেøক্সটিতে সব ধরনের সেবা দেবার জন্য এক্সরেসহ সব ধরনের উপকরন রয়েছে। কিন্তু আলট্রাসোনোগ্রাম মেশিন অক্ষত থাকলেও কে বা কাহারা এর প্রিন্টারটি চুরি করে নিয়েছে। এর ফলে প্রসূতি ও পেটের জটিল পীড়ার রোগীদের প্রকৃত রোগ নির্নয় করে সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ দিকে উপজেলার ছাইকোলা গ্রামের নার্গিস খাতুন (৪৮), দোলন গ্রামের মোক্তার হোসেন (৩৫), নতুন বাজারের উর্মিলা দাস (২৮) জানান, তারা কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন রোগ নিয়ে চাটমোহর স্বাস্থ্য কম্পেøক্সে ভর্তি রয়েছে। স্যালাইন-ক্যানোলাসহ দামী এন্টিবায়টিক ওষুধ কম্পেøক্স থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। পূর্বে এ সকল ওষুধ বাইরের দোকান থেকে খরিদ করে নিতে হতো। আগে এ কম্পেøক্সে তিন বেলা খাবার দেয়া হতো। বর্তমানে বিকেলে নাস্তাসহ চারবেলা খাবার রোগীদের দেয়া হচ্ছে। ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টি সম্মত এ খাবার পাবার কারনে রোগ নিরাময়ে বহুগুনে সহায়ক ভুমিকা পালন করছে। এ সেবাতে তারা অত্যান্ত আনন্দিত। খাবারের মান ও পরিমানও বেড়েছে বলে জানান ভর্তিকৃত রোগীরা।
উপজেলার আফ্রাতপাড়া গ্রামের শ্যামলী ব্যানার্জী (২৪) জানান, কর্তব্যরত ডাক্তার ও সেবিকাদের সেবার মান অতীতের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে রোগীদের সেবার জন্য ডাক্তার ও নার্সদের ডেকেও পাওয়া কঠিন হয়েছে। বর্তমানে কোন রোগীর অসুবিধা হলে নার্সকে জানানোর সাথে সাথে ডাক্তারকে কল দিয়ে প্রকৃত সেবা পাওয়া যাচ্ছে। বোথর গ্রামের নয়ন (৩০) জানান, চাটমোহর স্বাস্থ্য কম্পেøক্সে বর্হি বিভাগ ও আন্ত: বিভাগের বর্তমানে চিকিৎসা সেবার মান অনেক উন্নত বলে বিভিন্ন জায়গায় আলোচিত হচ্ছে। বর্হি বিভাগের রোগীরা বিনা মূল্যে ওষুধ পাচ্ছে। আবার খাবারও দেয়া হচ্ছে চারবেলা। এত সুযোগ থাকার পরেও অতীতে কেন এ সব সেবা থেকে উপজেলাবাসী বঞ্চিত হয়েছে এটা আমাদের বোধগম্য নয়। চাটমোহর স্বাস্থ্য কম্পেøক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আরমিলা আক্তার ঝুমি জানান, সরকারের বরাদ্দের ভেতর থেকে রোগীকে অতিরিক্ত একবেলা পুষ্ঠিকর নাস্তা দেয় হচ্ছে। সরকারী সরবরাহের সব ধরনের ওষুধ প্রয়োজনে দেয়া হচ্ছে বর্র্হিবিভাগ ও আন্ত: বিভাগের রোগীদের। যেকোন স্বাস্থ্য কম্পেøক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তার দিকনির্দেশনায় কাজ করতে হয়। বর্তমান টিএইচএফপিও মহোদয় যোগদানের পর থেকে তার দিকনির্দেশনাতেই কাজ করা হচ্ছে। এ সেবাতে রোগীরা অত্যান্ত সন্তোষ প্রকাশ করছে। চাটমোহর স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারূক বুলবুল জানান, এখানে যোগ দানের পর থেকে রোগীদের প্রকৃত সেবা ও অধিকার নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করেছি। আমার সহকর্মিরা এ ব্যাপারে আমাকে যথেষ্ট সহযোগীতা করেছেন। ফলে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত রোগীদের প্রাপ্য সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। রোগ দ্রুত নিরাময়ের জন্য পুষ্ঠিকর খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তিন বেলার সাথে বিকেলে একবার নাস্তা দেয়া হচ্ছে। তবে আমি যোগদানের আগে আলট্রসোনোগ্রামের প্রিন্টারটি চুরি হওয়ায় প্রসূতি ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত রোগীদের প্রকৃত রোগ নির্নয় করে সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।