ePaper

অপহরণ মামলার ৮ দিনে উদ্ধার হয়নি ভিকটিম

রবিউল ইসলাম (সাতক্ষীরা) শ্যামনগর

কালিগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের শেখ মাসুম বিল্লাহর মেয়ে মোছা. মাকসুদা আক্তার মীম (১৫) তেঘরিয়া গ্রামস্থ জামিয়া আয়েশা সিদ্দীকিয়া মাদ্রাসা এন্ড এতিমখানা থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি অপহরণ হয়। চারদিন খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের পিতা কালিগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৯/২৭ তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এ এস আই নীতিশ বিশ্বাস। মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে জানা গেছে রাহুল (২৬) পিতা নুরুল হক, রেহানা খাতুন (৪০) স্বামী নুরুল হক, গ্রাম খানপুর, শাহিনুর রহমান (৩৮) পিতা আনসার আলী গাজী, গ্রাম ইছাকুড়, মো. তানিয়া খাতুন (২৫) পিতা নুরুল হক, গ্রাম খানপুর, তারা সকলে শ্যামনগর উপজেলায় বসবাস করেন এবং আকলিমা খাতুন (৩৫) স্বামী মুজিবুর রহমান, কালিগঞ্জ উপজেলায় বসবাস করেন। সরাসরি পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও বেনামে ৪ জন আসামি করা হলেও গত ৮ দিনে কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারিনি কালিগঞ্জ থানা পুলিশ। সে সুযোগে আসামিপক্ষ উল্টো মামলার বাদী শেখ মাসুম বিল্লাহকে বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করছে। মামলার ৮ দিন অতিবাহিত হলেও ভিকটিম মাসুদা আক্তার মিমকে কে উদ্ধার করতে পারেনি এবং সে জীবিত না মৃত তাও নিশ্চিত করতে পারছেনা কালিগঞ্জ থানা পুলিশ। এদিকে মামলায় প্রধান অভিযুক্ত রাহুল আত্মগোপনে থাকলেও গ্রেফতার করছে না পুলিশ। পুলিশের এমন উদাসীনতা নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। অপহৃত মোছাম্মদ মাকসুদা আক্তার মিম (১৫) আজও বেচে আছে না মেরে ফেলেছে এমন খবর পেতে এবং মেয়েকে খুজে পেতে পুলিশের ধারে ধারে ঘুরছে ভিকটিমের পিতা শেখ মাসুম বিল্লাহ। এলাকাবাসীর ধারনা পুলিশ ইচ্ছে করেই আসামি পক্ষের কাউকে ধরছেনা। ভিকটিমের পিতা শেখ মাসুম বিল্লাহ বলেন, আজ ৮ দিন হলো আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি এবং পুলিশ কোন আসামী গ্রেফতার করেনি। তিনি আরও বলেন আমি ওসি স্যারের কাছে গিয়েছি থানায় প্রতিদিন যাচ্ছি শুধু বলছে আমরা চেষ্টা করছি। বাদীর প্রশ্ন পুলিশ কি চেষ্টা করছে? এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ এস আই নীতিশ বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এবং মোবাইল নাম্বার ট্রেকিং করে কিছু লোকেশন পাইছি কিন্তু সেখানে রাহুল নেই। তার পরও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *